বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ হাইকোর্ট

কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বিশ্বভারতী নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিশ্বভারতীয় জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ও অ্যাক্টিং রেজিস্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ নিয়ে ছ’মাস পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ঘটনা শান্তিনিকেতন থানার তলব পেয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই তলবের বিরোধিতা করেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। ১২ ডিসেম্বরের ঘটনা ১৯ এপ্রিল অভিযোগ হয়। এই মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। সাত মাস পর কেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে থানায় তলব করা হল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলার শুনানি চলাকালীন বলেন, ‘সাত মাস পর পুলিশ বুঝতে পারল যে এদের ভূমিকা রয়েছে। এই আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয়। এটা এফআইআর খারিজের আদর্শ মামলা।’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘মামলা খারিজের আবেদন করছেন না কেন? তাহলে তো পুলিশ তদন্তের জন্য ডাকার সুযোগই পেত না। তবে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য একবার অন্তত যেতেই পারেন।’

বিশ্বভারতীর আইনজীবী হাইকোর্টে বলেন, ‘শুধু এই একটা নয়, গত কয়েক মাসে এমন ১৪-১৫টা অভিযোগ করা হয়েছে। আসলে হেনস্থা করার জন্যই এইসব করা হয়েছে।’ সওয়ালের পর বিচারপতি জানতে চান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কী এফআইআর খারিজ চাইছেন? এই মামলায় আদালতের নির্দেশ, ‘আবেদনকারীরা অভিযুক্ত নন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পুলিশকে আগে থেকে সময় নিয়ে তাঁদের অফিস বা অন্য কোনও জায়গায় গিয়ে দেখা করতে হবে। তবে তদন্তের নামে পুলিশ তাঁদের কোনওভাবেই হেনস্থা করবে না বলে মনে করে কোর্ট।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *