আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর: সাত বছর আগে আরিনা বেগম তার স্বামী মুজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে পরকীয়ার জেরে চলে গিয়েছিল দক্ষিণ পদ্মবিল থেকে যুবরাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে নাসির উদ্দিনের সাথে। এদিকে স্ত্রী আরিনা বেগম পালিয়ে যাওয়ায় মুজিবুর রহমান বেবি বেগম নামে এক মহিলাকে বিয়ে করে পুনরায় ঘর-সংসার বাঁধে। মুজিবুর রহমান পেশায় একজন দিনমজুর। সে কাজের জন্য প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকে। বেবি বেগমের বর্তমানে দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। একই বাড়িতে মুজিবুরের বড় ভাই রিয়াজ আলী তার স্ত্রী সহ থাকে।
২০২৩ এর সেপ্টেম্বরের নয় তারিখ হঠাৎ করে আড়িনা বেগম নাসির উদ্দিন কে সঙ্গে নিয়ে মজিবরের বাড়িতে উপস্থিত। সাথে আইনার বাবা সোহাগ মিয়া এবং মইনুদ্দিন কে নিয়ে আসে। এসে মুজিবরের বাড়ি দখল নিয়ে নেয় এবং তার বড় ভাই রিয়াজ আলীকে স্ত্রী সহ বের করে দেয়। অসহায় রিয়াজ আলী এবং তার স্ত্রী সঙ্গে মুজিবরের বর্তমান স্ত্রী দুই বছরের সন্তান সহ ধর্মনগর থানাধীন ঢ়ুপির বন্ধ গ্রাম পঞ্চায়েতের তাদের বোন মিনারা বেগম এবং তার স্বামী ইসমাইল আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে রিয়াজ আলী, পানিসাগর পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় তারা তাদের বাড়ি ফিরে পায়।
কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১১ টার দিকে পুনরায় আরিনা বেগম, নাসির উদ্দিন, সোহাগ মিয়া এবং মইনুদ্দিন মুজিবুর রহমানের বাড়িতে চড়াও হয়। তখন মুজিবুরের বর্তমান স্ত্রী বেবি বেগম তার দুই বছরের শিশু সন্তানটিকে নিয়ে ছিল এবং রিয়াজ আলীর স্ত্রী বাড়িতে ছিল। তাদেরকে মারধর করে কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে এবং বাড়ির সোনা দানা টাকা-পয়সা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী লুটতরাজ করে। গ্রামবাসী হিসেবে যারা আসে তাদের প্রতি ও কারা চড়াও হয়। হামলা করে ঘর তছনছ করে জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বেবি বেগমকে উত্তর জেলা হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। নিরুপায় অবস্থায় বেবি বেগম নিজেদের বাড়ি ফিরে পাওয়ার জন্য এবং ন্যায্য বিচার পাওয়ার আশায় ধর্মনগর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫/ ৩৫৪/ ৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি সঠিক বিচারের আশায় তারা সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়। ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে গরিব অসহায় পরিবারের বাণী কি নিরবে নিভৃতে কাঁদবে নাকি আইন তাদেরকে সঠিক রাস্তা প্রদান করবে? তারা কি তাদের হারানো অধিকার নিজের বাড়ি কাগজপত্র সোনাদানা সম্পত্তি সব ফিরে পাবে নাকি অন্যের বাড়িতে গরিব বলে দিনের পর দিন কাটাতে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।