জুয়েলস এসোসিয়েশন: ১
এগিয়ে চলো সংঘ: ১
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর।। লীগের মাঝপথে ট্রফি বিজয়। যদিও চলতি টুর্নামেন্টের নয়। ঝুলে থাকা ট্রফি আদালতের রায়ে শাপমুক্ত হয়ে ২৫০ দিন পরে হলেও ট্রফি এলো যথাযথ স্থানে। আখেরে ট্রফি বিজয়ের আনন্দের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে চলতি টুর্নামেন্টে দলীয় খেলোয়ারদের খেলায়। গ্যালারিতে ঢাকের বাদ্য, খেলোয়াড়রা কোথায় উৎসাহিত হয়ে আরও ভালো খেলার কথা, কার্যত ফল হয়েছে উল্টোটা। খেলোয়াররা একটা চাপা প্রেসারে মাঠে স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি বলে কোচ কর্ণেন্দু দেববর্মা যে কথাটা বলেছেন, তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হোক না গত বছরের ট্রফি আজ যদি ম্যাচে জয়ী না হয়ে খেলা শেষে খেলোয়াড়রা ট্রফি হাতে নিতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসে, তাঁরা নিজেরাই নিজেদেরকে মেনে নিতে পারবে না। ওই মানসিক চাপে এগিয়ে চলো-র মাঝমাঠ, এমনকি আক্রমণ ভাগের স্বাভাবিক খেলাও ছন্দ হারিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেই জুয়েলস এসোসিয়েশন-এর সঙ্গেই এগিয়ে চলো সংঘের খেলাটি ১-১ গোলে ড্র-তে নিষ্পত্তি হয়েছে। এগিয়ে চলো সংঘের মতো দলকে রুখতে পেরে জুয়েলস এসোসিয়েশনের কোচও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটের মাথায় জুয়েলস এসোসিয়েশনের নরেন্দ্র রাই-এর গোলটি ১২ মিনিট বাদে এগিয়ে চলো সংঘের মালসোয়াম দুঙ্গা গোলটি শোধ করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে। প্রথমার্ধে এক-এক গোলে ড্র ম্যাচ, দ্বিতীয়ার্ধেও পরস্পর বিরোধী একাধিকবার আক্রমণ প্রতি আক্রমণ পরিলক্ষিত হলেও কার্যত তৃতীয়বারের মতো তিন কাঠির জালে বল জড়ানোর কাজটি কেউ করতে পারেনি। খেলার দুই অর্ধের খেলায় অসদাচরনের দায়ে রেফারি উপরন্তু দুইদলের পাঁচ জনকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন। এক-এক গোলে ড্র ম্যাচ থেকে দুই দল এক-এক করে পয়েন্টও ভাগাভাগি করে নিয়েছে। সুপার ফোরে কোন দল খেলবে তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে আজ সহ টানা সাত ম্যাচের মধ্যে চারটি ড্র-ম্যাচ কার্যত সুপার ফোরের তালিকা তৈরীর কাজটা কিছুটা কঠিন করে তুলেছে। ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন রেফারি অভিজিৎ দাস, পল্লব চক্রবর্তী, অসীম বৈদ্য ও লিটন সাহা। দিনের খেলা: টাউন ক্লাব ও ত্রিবেণী সংঘ, বিকেল তিনটায়, উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে।

