প্রশাসনিক শীর্ষপদেও রদবদল পরিবর্তন করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : মঙ্গলবার সকালে সপারিষদ স্পেনের উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই দিনেই রাজ্য প্রশাসনে ব়ড়সড় ঝাঁকুনি।

কিছু জেলার শীর্ষ আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনেও বড়সড় পরিবর্তন ঘটানো হল। এই তালিকা প্রকাশের পর প্রশাসনিক মহলে আলোচনা, কোনও কোনও ক্ষেত্রে আধিকারিকদের উন্নীত করে পুরস্কৃত করা হয়েছে। কাউকে আবার কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়েছে। যদিও সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে এই সব বদলি রুটিনমাফিক।

এই রদবদলে একাধিক জেলার জেলাশাসক বদল করা হয়েছে। বদল করা হয়েছে মোট ২২ জন শীর্ষ আমলাকে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দায়িত্ব থেকে মৌমিতা গোদারা বসুকে স্বাস্থ্যসচিব করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন। তাই এই বদলিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই তালিকায় পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে।

নদিয়ার জেলাশাসকের দায়িত্বে থাকা শশাঙ্ক শেঠিকে করা হয়েছে পর্যটন দফতরের বিশেষ সচিব। আবার কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ানকে অর্থ দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে। বাঁকুড়ার জেলাশাসক রাখিয়া আইয়ারকে কেপিআইটি নির্দেশক করা হয়েছে। স্ট্যাম্প বিভাগের রেজিস্ট্রেশন এবং কমিশনার হয়েছেন হরিশঙ্কর পনিকর। সুরেশকুমার জগৎ হয়েছে বন দফতরের যুগ্মসচিব।

পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদকে পাঠানো হয়েছে নদিয়া জেলার জেলাশাসকের দায়িত্বে। এই জেলার জেলাশাসক ছিলেন শাশঙ্ক শেঠি। অরুণকে নদিয়া জেলার দায়িত্বে পাঠিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের দায়িত্বে আনা হয়েছে পোন্নামবালম এস-কে। তিনি ছিলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক ও জিটিএ-র দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। তাঁর জায়গা দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক হয়েছেন প্রীতি গয়ালকে। তিনি আবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্বে ছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলার বদলে জেলাশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন পূর্ণেন্দুকুমার মাজি।