আগরতলা, ১০ সেপ্টেম্বর।। গণ্ডাছড়া থেকে বিভিন্ন সড়কপথে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলি যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অধিক ভাড়া আদায় করে চলেছে। এ বিষয়ে পরিবহন দপ্তর কিংবা প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যাএীদের বোকা বানিয়ে অধিক ভাড়া আদায় করে অর্থ লুটে করে নিচ্ছে যানবাহন গুলি। সিন্ডিকেটকে জানানো হলে রক্তচক্ষু দেখতে হয় বলেও অভিযোগ যাএীদের। ঘটনা গন্ডাছড়া থেকে অমরপুর, গন্ডাছড়া থেকে আমবাসা, গন্ডাছড়া থেকে রইস্যাবাড়ি রোডে।
মাত্র আটাশ কিলোমিটার রাস্তার জন্য যাত্রীদের গাড়ি ভাড়া গুনতে হয় একশো টাকা। অতিরঞ্জিত মনে হলেও এটাই বাস্তব। গন্ডাছড়া থেকে অমরপুর, গন্ডাছড়া থেকে রইস্যাবাড়ি, এবং গন্ডাছড়া থেকে আমবাসা একই ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। কালাঝারি পাহাড় হয়ে গন্ডাছড়া থেকে অমরপুরের দুরত্ব মাত্র আটাশ কিলোমিটার। গন্ডাছড়া থেকে অমরপুর যাতায়াত করতে হলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ছোট গাড়িতে একশো টাকা ভাড়া গুনতে হয়। একই অবস্থা গন্ডাছড়া থেকে রইস্যাবাড়ি যাতায়াতে । গন্ডাছড়া থেকে রইস্যাবাড়ি দূরত্ব আটাশ কিলোমিটার। এই সড়কে বাস সার্ভিস নেই বললেই চলে। ফলে ছোট গাড়ি একমাত্র ভরসা। গন্ডাছড়া থেকে আমবাসা দূরত্ব ছাপ্পান্ন কিলোমিটার,,তাও ভাড়া একশো টাকা। উল্লেখ্য, গন্ডাছড়া মহকুমায় পরিবহণ দপ্তরের কার্যত কোনো অস্তিত্ব নেই। যানবাহনের উপর কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণও লক্ষ্য করা যায়নি কোনোদিন। ফলে বেশিরভাগ ছোট বড় যানবাহনেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক নেই। ঠিক তেমনি গাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও কোনো ধরনের নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা না করেই নিজেদের ইচ্ছা মতো গাড়ি ভাড়া আদায় করছে যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে। গাড়ি ভাড়ার নামে এক ধরনের জুলুমই বলা চলে। যাত্রীদের তরফ থেকে প্রতিবাদ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট চালকদের রক্তচক্ষুর মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু গাড়ি ভাড়ার নামে এধরনের জুলুম নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও নীরব। কারো মুখেই কোন শব্দ নেই। অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যাত্রী সাধারণের তরফ থেকে জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় যেকোনো সময় যাত্রীরা পথ অবরোধসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে আন্দোলনে নামতে পারেন বলে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকেই দায়ী থাকতে হবে বলেও আগাম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।