স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে  

আগরতলা , ৫ সেপ্টেম্বর : কৈলাসহর চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে মনুভ্যালী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লালটিলা তাতিপাড়া ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় ১ গৃহবধূ খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। মদ্যপান করে এসে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করেছে স্বামী। এমনই অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে স্বামী ও তার বোন।

 সংবাদে প্রকাশ, ওই এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু তাঁতি বিগত কয়েক বছর পূর্বে উত্তর জেলার মহেশপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা মিনতি তাঁতিকে বিবাহ করে। বর্তমানে ওদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যার নাম বর্ষা তাঁতি, সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পাঠরত। স্থানীয়দের কাছ থেকে আরো জানা যায় যে ঝন্টু তাঁতি প্রায়শই আকণ্ঠ মধ্যপান করত। ঝন্টু তাঁতির মেয়ে বর্ষা তাঁতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানায়, গতকাল ঝন্টু তাঁতি আকণ্ঠ মদ্যপান করে আসে এবং তার স্ত্রী মিনতি তাঁতিকে কোমরের ব্যাল্ট এবং একটি লাকড়ির টুকরো দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এবং সেই মারপিটের ফলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মিনতি তাঁতি। পাশাপাশি কালকের সেই ঘটনার পেছনে সম্পূর্ণভাবে মদত দিয়েছে বলে অভিযোগ ঝন্টু তাঁতির বোন সুমি তাঁতি। এলাকা সূত্রে খবর, সুমি তাঁতির বিবাহ হলেও স্বামীর ঘর ছেড়ে সে লালটিলা তাতিপাড়া এলাকায় বসবাস করছে। এমনকি ঝন্টু তাঁতির মেয়েকেও সুমি তাঁতি গতকালকের এই ঘটনার সময়  সরিয়ে নেয় ঘর থেকে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীকালে ঝন্টু তাঁতি তার স্ত্রীর মৃতদেহ ঘরের মেঝের মধ্যে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দেয়। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালবেলা স্থানীয়রা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পেরে খবর পাঠায় মিনতি তাঁতির বাপের বাড়িতে। মিনতি তাঁতির বাপের বাড়ির লোকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং মিনতি তাতির মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মিনতি তাঁতীর শরীরের মধ্যে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কি কারনে এই খুনের ঘটনাটি ঘটলো তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কৈলাশহর থানা এবং মহিলা থানার পুলিশ।মহিলা থানার ওসি রিঙ্কি দেববর্মার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ছুটে যান কৈলাশহরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শিবু চন্দ্র দে। স্বামী ঝন্টু তাঁতি এবং তার বোন সুমি তাঁতিকে  গ্রেফতার করে কৈলাশহর মহিলা থানায় নিয়ে আসাতিক। অন্যদিকে মিনতি তাতির বাপের বাড়ির লোকদের পক্ষ থেকেও কৈলাশহর মহিলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানা যায়। বর্তমানে মিনতি তাঁতির মৃতদেহ কৈলাশহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *