হাফলং (অসম), ২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার লোয়ার হাফলঙের বাসিন্দা বছর ৪২-এর স্বপন দেবনাথকে খুন করেছিল তাঁর নিজের ছেলে অভিষেক দেবনাথ। নিজের বাড়িতেই দা দিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করেছিল স্বপন দেবনাথকে তারই ছেলে অভিষেক। পুলিশের কাছে নিজের বাবাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে বছর ১৯-এর অভিষেক দেবনাথ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট লোয়ার হাফলঙের কাছে জঙ্গলে একটি গর্তে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্বপন দেবনাথের পঁচাগলা লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তার পর ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ স্বপন দেবনাথকে খুন করার অভিযোগে তার ছেলে অভিষেক ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশের জেরায় অভিষেক স্বীকার করে বলেছে, গত ২৬ আগস্ট রাতে নিজের বাড়িতেই সে তার বাবা স্বপন দেবনাথকে দা দিয়ে গলা কেটে খুন করে। খুন করার পর বাবার নিথর দেহ সে নিজেই বস্তায় বেঁধে লোয়ার হাফলঙে একটি জঙ্গলের গর্তে ফেলে আসে। এছাড়া যে দা দিয়ে অভিষেক তার বাবাকে খুন করেছিল সেই দা সে অন্য জায়গায় নিয়ে ফেলে দিয়েছে।
পিতৃহন্তা অভিষেক দেবনাথ পুলিশের জেরায় জানিয়েছে, সে ছোট থেকেই দেখে আসছে বাবা (স্বপন দেবনাথ) তার মায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার ও নির্যাতন চালাতেন। এমন-কি তার (অভিষেক) স্ত্রীর দিকেও বাবার খারাপ নজর ছিল। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয়, এমন বাবাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ২৬ আগস্ট রাতে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে অভিষেক তার বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বস্তা দিয়ে মোড়ে জঙ্গলে গর্তের ফেলে এসেছে। সে নাকি স্বীকার করেছে, রাগের মাথায় সে তার বাবাকে খুন করলেও এখন সে অনুতপ্ত।
এদিকে স্বপন দেবনাথের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে স্বামী (স্বপন দেবনাথ) তাঁর ওপর অসহনীয় অত্যাচার করে আসছিলেন। এতদিন সব কিছু সহ্য করছিলেন। কিন্তু ২৬ আগস্ট রাতে সব সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় অভিষেক তার বাবাকে খুন করেছে।
পুলিশের কাছে স্বপন দেবনাথের স্ত্রী জানিয়েছেন, অভিষেক তার বাবাকে খুন করে ভালোই করেছে। সে যদি তাকে খুন না করত, তা-হলে নাকি তিনিই তাঁর স্বামীকে খুন করতেন। কারণ এ ধরনের অত্যাচারি ব্যক্তির বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। তাই তাঁকে খুন করে জেলে যাওয়াই শ্রেয় বলে জানান স্বপন দেবনাথের স্ত্রী।

