অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়ে ফের ঝামেলা, ক্ষোভে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দিল এলাকাবাসী

আগরতলা, ২ সেপ্টেম্বর।। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ক্ষোভ বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে শাসকদলের একাংশ সরাসরি জনিত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির  অভিযোগ উঠেছে মনু শিশু উন্নয়ন প্রকল্প অধিকর্তা অফিসের বিরুদ্ধে।  মহকুমার নালকাটা দেবীপুর কলোনির পর পুর্ব মনু ভিলেজের গকুলনগর ২নং কলোনির অঙ্গনারী কেন্দ্রের তালা ঝুলালো বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। অভিযোগ  সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের গাইডলাইনকে উপেক্ষা করে নগদ নারায়ণের বিনিময়ে অস্থায়ী এই পদগুলি পছন্দের লোককে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ।
জানা যায় সম্প্রীতি মনু আইসিডিএস প্রজেক্টের আওতায় বিভিন্ন ভিলেজ এর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলির জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও হেল্পার নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। পূর্ব মনু ভিলেজের গকুলনগর ২নং কলোনির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর জন্য একাধিক আবেদন করা হয়।  কিন্তু অনেকের আবেদনই বাতিল করে দেওয়া হয়।  তার পেছনে কারণ হিসাবে সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের গাইড লাইনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। গাইডলাইন অনুযায়ী যে ভিলেজ অথবা ওয়ার্ডে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি রয়েছে সেই ওয়ার্ড থেকেই অঙ্গনওয়ারী কর্মী অথবা হেলপার নিয়োগ করতে হবে।  কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কয়েকজনের জন্য গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেও কতিপয় এর জন্য একি গাইডলাইন কলাপাতা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা যায় এই সেন্টারের কর্মরত কর্মী সুষমা দাস অবসর যাওয়ার পর  গত ৩০ মে গকুলনগর কলোনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সকল সদস্য সদস্যাগণ রেজুলেশন করে সুষমা দাসের জায়গায় মিঠুন দাসের স্ত্রী সঙ্গীতা দাস কে নিয়োগ করার আবেদন জানান। এরই মধ্যে সিডিপিও অফিস থেকে এই পদের আবেদন আহ্বান করলে সঙ্গীতা দাসও আবেদন করেন। কিন্তু দেখা যায় ৫ নং ওয়ার্ডে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি বর্তমান অথচ নিয়োগ পেয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ডের  সুপ্রিতা দাস। অভিযোগ নগদ নারায়ণের কৃপায় অফিস ও দু একজন শাসক দলীয় নেতার কারসাজিতে সঙ্গীতার নাম বাতিল করা হয়।  তাদের দাবি সরকারি নিয়ম নীতি কে ফু দিয়ে উড়িয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সুপ্রিতাদেবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  এদিকে জায়গার মালিক সুধাংশু দাস দাবি করেন সেন্টারের জন্য তিনি জোত জায়গা দান করেছেন। দাবি একটাই পরিবারের কাউকে একই কেন্দ্রে হেল্পার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।  এবারের নিয়োগে চরম দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিনি ও এলাকাবাসী মিলে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। তাদের দাবি যেহেতু ৫ নং ওয়ার্ডে যোগ্য প্রার্থী রয়েছে তাহলে দপ্তরের নিয়ম নীতি মেনে তাকেই নিয়োগ করতে হবে।  অন্যথায় সঠিক তদন্ত করে দপ্তরের গাইডলাইন মেনে  স্বচ্ছভাবে  নিয়োগ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টারে তালা ঝুলবে। এদিকে সদ্য নিয়োগ পাওয়া অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সুপ্রিতা দাস জানান তিনি স্কুলে এসে স্কুল তালাবন্ধ দেখে বাইরে মাঠে ক্লাস করিয়ে চলে যান। তবে তিনি স্বীকার করেছেন তিনি ৫ নং ওয়ার্ডের নন ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দপ্তরের তরফ থেকে অতিসত্বর সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন  এলাকাবাসী।