নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর (হি.স.): আবারও ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি কার্যকরের পক্ষে তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার ভিত্তিতে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের দিশা খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। সেই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধীরা। সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেছেন, “রাজনৈতিক দল ও সংসদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে?” ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের প্রধান রাজেশ ঠাকুর বলেছেন, “পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার বিপদে পড়েছে। তাঁরা ‘এক দেশ এক নির্বাচনের’ কথা বলে, কিন্তু এই দেশ শুধুমাত্র একজনের নয়।” উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “দেশ এমনিতেই এক, কেউ কি এ নিয়ে প্রশ্ন করছেন? আমরা ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি থেকে মনোযোগ সরাতে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ এই ফান্ডা আনা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানিয়েছিলেন, ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করার জন্য আইন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে যে বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা ঘোষণা করেছেন। সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পাশাপাশি ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। বিশেষ অধিবেশনেই রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি রিপোর্ট পেশ করতে পারে।