BRAKING NEWS

সপাতালের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু এক চিকিৎসকের

আগরতলা, ১ সেপ্টেম্বর।। উদয়পুর টেপানিয়ায়  গোমতী জেলা হাসপাতালে  চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে এক নাবালকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র খুব এর সঞ্চার হয়েছে। পরিজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে হাসপাতাল চত্বর।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উদয়পুর এলাকার বাসিন্দা অনিক দেব গলার সমস্যা নিয়ে উদয়পুর টেপানিয়া  গোমতী জেলা  হাসপাতালে ভর্তি হন বৃহস্পতিবার সকালে। তারপর সেখানে কর্মরত এক চিকিৎসক অনিক দেবের গলায় একটি অস্ত্রোপচার করেন। তারপর থেকেই অনিক দেবের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তারপরেই উদয়পুর টেপানিয়া  জেলা হাসপাতালের ওই চিকিৎসক দায়মুক্ত হওয়ার কৌশল হিসেবে তাকে জরুরি ভিত্তিতে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেন।  জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। গোমতী জেলা হাসপাতালের ওই চিকিৎসক নিজেকে বাঁচাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে অনিক দেবকে মৃত অবস্থায় উদয়পুর টেপানিয়া হাসপাতাল থেকে জিবিপি হাসপাতালে রেফার করে দেয় বলেই অভিযোগ করেন মৃত অনিক দেবের পরিবারের লোকজন। পরে নাবালক ছেলেকে জিবিপি হাসপাতালে আনার পর সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর  তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত নাবালকের পরিবারের লোকজন আরো অভিযোগ করেন উদয়পুর টেপানিয়া  গোমতী জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী অনিক দেবকে জিবিপি হাসপাতালে আনার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা গা ঢাকা দেন। ছেলেকে হারিয়ে হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃত নাবালক ছেলের মা বাবা সহ আত্মীয় পরিজন। পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় পরিজনরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ক্রমে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ভুল চিকিৎসার কারণেই নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা স্পষ্টভাবে অভিযোগ করেছেন। উল্লেখ্য গোমতী জেলা হাসপাতালে ইতিপূর্বেও বিনা চিকিৎসায় এবং ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর বহু ঘটনা ঘটেছে। পরপর এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোমতী জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনদের আত্মবিশ্বাস ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেক্ষেত্রে একাংশ চিকিৎসকদের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসার কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *