অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে বিপাকে শচীন, বাড়ির সামনে বিক্ষোভ


মুম্বই, ৩১ আগস্ট (হি.স.) : বিপাকে শচীন তেণ্ডুলকর । ভারতরত্ন হয়ে গেন হয়েও কেন অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপনে ‘গড অফ ক্রিকেট’ ? এই প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার মুম্বইতে তাঁর বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন সমর্থকদের একাংশ।

আসলে একটি ফ্যান্টাসি অ্যাপের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছিলেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। ২০২০ সালে শচীন ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপের সঙ্গে চুক্তি করেন। তিনি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। আর তাই এবার সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সমর্থকদের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁর বান্দ্রার বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন মহাতারকা একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত। বিক্ষোভ দেখানোর সঙ্গে তারা এই বিষয়টা নিয়ে আদালতেও যাওয়ার হুমকি দেন।

তবে শচীন একা নন। দেশের প্রাক্তন ও বর্তমান একাধিক ক্রিকেটার ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপের প্রচারে যুক্ত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিখর ধাওয়ান, শুভমান গিলের মত অনেক তারকা যুক্ত। এমনকি আইপিএল-এর একাধিক দলকেও স্পনসর করে থাকে ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থাগুলো। টিম ইন্ডিয়াকেও স্পনসর করেছে ড্রিম ইলেভেন। যদিও এই বিতর্ক থামার কিন্তু নাম নেই।

শোনা গিয়েছে, যারা বিক্ষোভ দেখালেন তারা মহারাষ্ট্রের নির্দল বিধায়ক বাচ্চু কাদুর সমর্থক। শচীন পেটিএম ফার্স্ট গেমস নামে একটি ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করেন। এটা নিয়েই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিধায়কের সমর্থকরা। তাদের দাবি, ফ্যান্টাসি গেমিংয়ের পিছনে এটা আসলে বেটিং হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা শচীনের কাছে অনুরোধ করেন তিনি যেন সেই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করেন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে শচীন কোনও মন্তব্য করেননি।

৩০ আগস্ট বিধায়ক বাচ্চু কাদা শচীনকে একটি নোটিশ দেন। যেখানে তিনি ভারতরত্নকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন। এরপর কোনও উত্তর না মেলায় বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। বিধায়ক বলেন, “যারা ভারতরত্ন পান তাদের কিছু নিয়ম মানতে হয়। আমরা ওঁকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম এই বিষয়ে। উনি কোনও উত্তর দেননি, তাই আমরা এবার উকিলের চিঠি পাঠাব তাঁকে।” তিনি এই নিয়ে অতীতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দের কাছেও চিঠি লেখা হয়েছে। তাঁর দাবি, যদি কিছু টাকা কামানোর জন্য এই ধরনের বিজ্ঞাপন করে থাকেন, তাহলে শচীনের ভারতরত্ন উপাধি কেড়ে নেওয়া হোক। এবার এই বিতর্ক কোথায় গিয়ে থামে সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *