শাড়িতেও নতুন নতুন ভাবনা, মুখ্যমন্ত্রী বোঝালেন মিষ্টি ব্যবসারীদের

কলকাতা, ২৯ আগস্ট (হি. স.) : বর্তমানে হালকা শাড়ির চল বেড়েছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যুগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ব্যবসাতেও যে নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে আসতে হয়, সেই কথা মঙ্গলবার কলকাতায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে তাঁদের বোঝাতে গিয়ে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তখনই এ রাজ্যে শাড়ির ব্যবসায় কীভাবে বদল এসেছে তা তুলে ধরেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘আগে বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি ছিল খরখরে। কিন্তু এখন মেয়েরা খরখরে শাড়ি পরতে ভালবাসে না। শুধু মেয়েরা কেন, ছেলেরাও খরখরে পোশাক পছন্দ করে না। সবাই হালকা পরতে ভালবাসে। আমি বিষ্ণুপুরের শাড়িকে একেবারে পাতলা করে দিতে বলেছিলাম। এখন সেরকম পাতলা করে দিয়েছে, আরও ভাল লাগছে।’

শুধু বিষ্ণপুরেই নয়, মুর্শিদাবাদের শাড়িতেও বদল এসেছে। বললেন, ‘আগে মুর্শিদাবাদের সিল্ক কড়কড়ে ছিল। কড়কড়ে, খরখরে জিনিস কেউ নিতে চায় না। দেখবেন, এখন সকলে চেষ্টা করেন, তাঁকে স্লিম লাগবে কীভাবে। যদি কাউকে স্লিম লাগতে হয়, সে ভারী শাড়ি কম পরে।’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, উৎসব-অনুষ্ঠান ছাড়া ভারী শাড়ি এখন আর কেউ সেভাবে পরতে চান না।

বাংলার বস্ত্র শিল্পে মসলিনের শাড়ির যে পুনরুত্থান হয়েছে, সেই কথাও এদিন উঠে আসে মমতার কথায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি যখন বাংলার দায়িত্বে আসেন, তখন রাজ্যে মসলিনের শাড়ি তৈরির শিল্পী খুব বেশি ছিলেন না। সারা বাংলা খুঁজে ৬০ জন বস্ত্রশিল্পীকে তিনি পেয়েছিলেন। তারপর তাঁদের দিয়ে আরও ৬০০ জনকে প্রশিক্ষিত করিয়ে নিয়েছেন মসলিনের শাড়ি তৈরিতে। আর তারই সুফল হল, আজকের দিনে বিশ্ব বাংলার স্টলে মসলিনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।