“পায়ের তলায় বোমা, উনি বুঝতে পারছেন না”, মমতাকে তোপ দিলীপের

পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ আগস্ট (হি. স.) : “মণিপুরে কী হয়েছে উত্তরপ্রদেশে কি হয়েছে এই নিয়ে ওনার খুব চিন্তা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা নিয়ে কিছু বলবেন না। ওনার পায়ের তলায় বোমা, উনি বুঝতে পারছেন না।” মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বোগদা এলাকায় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে বসে মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিস্ফোরণ কোনও নতুন ব্যাপার নয়। লোকে দীপাবলি বা সংক্রান্তিতে বোমা ফাটায়। আমরা সারা বছর ফাটাই। মুখ্যমন্ত্রী সেটা নিয়ে কিছু বলবেন না’।

চা চক্র শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলেন, ‘জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে এমন সমস্ত ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হচ্ছে আশেপাশের বাড়ি, পা সমস্ত উড়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ গরিব মানুষ তাঁরা মারা যাচ্ছে। যে কিছুই জানেই না, নির্দোষ সেও মারা যাচ্ছে।

ওনারা যুক্তি দেন এখানে লোকেরা খেতে পায় না ১০০ দিনের কাজ বন্ধ তাই বোমা তৈরি করছে। তাহলে বাংলায় আছে টা কী? এটা ঠিকই বাংলাকে ওনারা গরিব করে দিয়েছেন ১২ বছরে। কিন্তু বাকি রাজ্যগুলো কেন বোমা বানায় না?

পুলিশ কি এখানে খায় দায় ঘুমোয়? নাকি ওনাদের নেতা বানাচ্ছেন’। এই মন্তব্য করে দিলীপবাবু বলেন, ‘সব জানে কেউ ভয়ে বলেনি। পুলিশকে বললে পুলিশ উলটো কেস দিয়ে দেয়। পুলিশ টাকা নেয়, নেতারা টাকা নেয় আর দিনের পর দিন এই অবৈধ বিপদজনক কাজ চালায়।

আজ যখন এই ধরনের বিস্ফোরণ হচ্ছে মানুষের মাথা ঘুরে যাচ্ছে। সবার ভয় হচ্ছে কি জানি আমাদের পাড়াতেই কারখানা আছে নাকি কখন বোমা ফাটবে। যত দিন যাচ্ছে বড় বিস্ফোরণ হচ্ছে। আর মাননীয়া এই ব্যাপারে চুপ আছেন’।

সেই সঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় রাজ্যের মানুষ বাংলায় থাকলেও মরে যাচ্ছে। বাংলার বাইরে কাজ করতে গেলেও সেখানেও অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে মরে। বাংলার মানুষ কি এরকম অপঘাতে মৃত্যু লিখে নিয়ে এসেছে ভগবানের কাছ থেকে?

আমার মনে হয় এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী মুখ্যমন্ত্রী’। কি কালচার তৈরি করেছেন উনি? যাদবপুর তার উদাহরণ! এদিকে বলছেন আমরা একবিংশ শতাব্দীতে আছি। আর সেই প্রাচীন পদ্ধতির র‍্যাগিং এখনও বন্ধ হয়নি। সবচেয়ে আধুনিক সবচেয়ে মেধাবী ছাত্ররা যাদবপুরে ভর্তি হচ্ছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের লজ্জার কি হবে’।