ফের বিপর্যস্ত ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক। অবরুদ্ধ সোনাপুর।

আগরতলা, ২৭ আগস্ট।। ফের বিপর্যস্ত ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক। অবরুদ্ধ সোনাপুর। মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে থাকা কৃত্রিম সুড়ঙ্গের মুখে ধসের কবলে পড়েছে অন্তত দুটি গাড়ি। এর মধ্যে একটি পণ্যবাহী লরি এবং অন্যটি মারুতি জিপসি গাড়ি। এই ঘটনা ঘটেছে শনিবার সাতসকালে। প্রবল বর্ষণের জেরে আচমকা পাহাড় ভেঙে ধস নামায় এই বিপত্তি ঘটে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে। মেঘালয় ও আসামের আন্ত:রাজ্য সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। জাতীয় সড়ক ঘিরে নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলাজুড়ে বর্ষণ চলছে। শুক্রবার রাতে এর তীব্রতা বেড়েছে। ফলে বরাবরের মতো সোনাপুর এলাকায় পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় ভাঙা শুরু হয়। জল, মাটি, পাথরমিশ্রিত হয়ে পাহাড় ভেঙে ও বেয়ে ঢালাইয়ের মতো করে আছড়ে পড়তে থাকে জাতীয় সড়কে। ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপুরস্থিত কৃত্রিম সুড়ঙ্গের আসাম ও ত্রিপুরা দিকের অংশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আচমকা সড়কে পাহাড় নেমে আসায় সুড়ঙ্গের মুখে থাকা দুটি গাড়ি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পাহাড়ের মাথা ভেঙে আসা বড় বড় পাথর যেন গাড়িগুলিকে ঘিরে প্রাচীর তৈরি করেছে। যেন ভয়াবহ দৃশ্যের ছবি সৃষ্টি হয়ে গেছে প্রকৃতির রোষের ফলে।
পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলার পুলিশ সুপার এ নিয়ে বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জোর তৎপরতা চলছে। জাতীয় সড়ক ধসমুক্ত করার কাজ চলছে। তবে প্রবল বর্ষণের জেরে এ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। সড়ক থেকে জল- কাদা মিশ্রিত পাথর সরাতে না সরাতেই ফের নতুন করে ধস নামছে। যেন পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় জাতীয় সড়কে নেমে আসতে চাইছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে আশঙ্কাময় ও ভয়াবহ। যানবাহন চলাচল প্রশ্নের মুখে এসে পড়েছে।এমনিতেই প্রায় সারা বছর সোনাপুর ও সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল যথেষ্ট ঝুঁকির। প্রায় সর্বদা বিপদের আশঙ্কা থাকে। বর্ষাকালে এই আশঙ্কার মাত্রা আরও বাড়ে। মাসখানেক আগে প্রবল বর্ষণের কারণে সোনাপুর টানা কয়েকদিন অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকে। বন্ধ রাখতে হয় সব ধরনের যানবাহন। এরপর কিছুদিন ঝুঁকি নিয়ে হলেও মোটামুটি স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলেছে ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। ফের প্রবল বর্ষা শুরু হওয়ায় নতুন করে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে যানবাহন চলাচল। কেননা বর্ষণের পাশাপাশি পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ও যেন নিজের ভাঙন থামাতে চাইছে না। বাড়ছে আশঙ্কা। আপাতত বৰ্ষণ থামাই একমাত্র বিপত্তারণ কারণ হতে পারে অন্য বহুবারের মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *