কলকাতা, ২৬ আগস্ট (হি.স.) : র্যাগিংয়ের কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক যাগবল্ক্য শুক্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি সংগঠনের জাতীয় মন্ত্রী বিরাজ বিশ্বাসসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভের যে ভিডিওটি সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ এবিভিপি কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিচ্ছে।যার নিন্দা করা হয় এবিভিপি-এর পক্ষ থেকে ।
শুক্রবার বিকেলে গোল পার্ক থেকে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে একটি র্যালি বের করে এবিভিপি। তবে পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং লাঠিচার্জ শুরু করে। যাদবপুর থানার কাছে মোড়ে দীর্ঘ হট্টগোলের পরে, পুলিশ বেছে বেছে এবিভিপি কর্মীদের গ্রেফতার করে। সংগঠনটির অভিযোগ, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের আগে পুলিশ তাদের নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
এবিভিপি-র জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবিতে থাকা এবিভিপি কর্মীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অত্যন্ত নৃশংস আচরণ করেছে, এই বিক্ষোভে জড়িত ছাত্রীদের পুরুষ পুলিশ আটকানোর দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং তাদের জোর করে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। এসময় একজনও মহিলা পুলিশ সদস্য ছিলেন না।
এবিভিপি কাশীপ্রান্তের প্রাদেশিক সম্পাদক অতেন্দ্র সিং বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনা খুবই জঘন্য কাজ। আমাদের ক্যাম্পাস ছাত্রদের জন্য নিরাপদ হওয়া উচিত, অপরাধীদের আড্ডা নয়। আজ যখন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মীরা স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বিচার দাবি করছিল, তখন পুলিশ তাদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করেছে। ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন পুরুষ পুলিশ সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গ নারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুধু সরকারের ব্যর্থতা ও পুলিশি দমন-পীড়ন প্রকাশকারীদের গ্রেফতারে ব্যস্ত।