অন্ধ কিশোরীকে ধর্ষন কাণ্ডে দোষীকে  আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত

 আগরতলা, ২৫ আগস্ট।। অন্ধ নাবালিকা কিশোরীকে লাগাতারভাবে ধর্ষণ করার মামলার রায়ে অপরাধীকে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত। সাথে অপরাধীকে ষাট হাজার টাকার জরিমানাও ধার্য্য করলো আদালত। মামলার বিবরণে জানা গেছে যে, ২০১৯সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি তারিখে খোয়াই থানায় জনৈক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান যে,তার ষোল বছরের অন্ধ নাবালিকা কিশোরীকে গত তিন মাস ধরে খোয়াই থানাধীন সিপাইহাওর গ্রামের জনৈক সুজিত তাঁতি ( ২৭) লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে।পরিণতিতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় মেয়েটি গর্ভবতী বলে জানা যায়।অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে প্রাণের ভয় দেখিয়েই লাগাতার ভাবে তিন মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ।কারোর কাছে এসব ঘটনা খুলে বললে মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও অভিযুক্ত সুজিত তাঁতি ভয় দেখাতো।মেয়েটিও প্রাণের ভয়ে কারোর কাছে এতদিন মুখ খুলেনি।পরে চিকিৎসকের কাছে শারীরিক পরীক্ষায় গর্ভবতী বলে ধরা পড়ার পর সে বাড়ীতে সবকিছু খুলে বলে।পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬(২)/ ৫০৬ ও পকসো আইনের ৪ নং ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে ( Khowai P/S Case No.12/ 2019)তদন্ত শুরু করে।একসময় গ্রেপ্তারও হয় অভিযুক্ত সুজিত তাঁতি।আদালতে তোলা হলে কিছুদিন জেল হাজতেও কাটায় সে।পরে জামিনে ছাড়া পায়। আদালতে ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী অফিসার এস আই কমলা মুড়াসিং।শুরু হয় মামলার শুনানি।২০জন সাক্ষ্য দেন।আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত সুজিত তাঁতি।
বৃহস্পতিবার খোয়াই জেলার বিশেষ আদালতের বিচারক শঙ্করী দাস মামলার রায় প্রদান করে সুজিত তাঁতিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(৩) ধারায় আমৃত্যু কারাবাস ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেন। একই সাথে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় আরো ১০হাজার টাকার জরিমানা করেন। আদালতে সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পি পি অভিজিৎ ভট্যাচার্য্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *