ঝাড়গ্রামে তৃণমূল নেতাকে মারধোরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে

ঝাড়গ্রাম, ২২ আগস্ট (হি. স.) : তৃণমূলের অঞ্চল যুব সভাপতি এবং বুথ সভাপতিকে মারধোরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত দুই যুব তৃণমূলের নেতাকে ঝাড়গ্রাম জেলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়্গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার পাথরা অঞ্চলের তুঙ্গাধুয়া এলাকার একটি অ্যাসবেসটস কারখানার সামনে। বিজেপির অক্রমনে গুরুতর জখম হয়েছেন পাথরা অঞ্চল যুব সভাপতি বিজয় মাহাতো এবং তুঙ্গাধুয়া যুব বুথ সভাপতি, স্থানীয় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ অধীর মহাতো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে তুঙ্গাধুয়া এলাকায় একটি অ্যাসবেসটস কারখানা রয়েছে। এখানে তৃণমূল ও বিজেপির উভয়ের শ্রমিক সংগঠন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই কারখানায় নিয়ম বর্হিভূত কাজ করার জন্য বেশ কয়েক জন বিজেপি সর্মথিত কর্মীকে কারখানা কতৃপক্ষ সাসপেন্ড করেছিল। এদিন ওই সব কর্মীদের পুনরায় কাজে ফেরানোর দাবি নিয়ে কারখানার মূল গেট বন্ধ করে জমায়েত করেছিল বিজেপির লোকজন। অভিযোগ এই জমায়েতে কারখানার শ্রমিক ছাড়াও বাইরের বিজেপির লোকজন ছিল। জানা গিয়েছে পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওই সব কর্মীদের আলাপ আলোচনা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ ওই আলোচনার পরেই কারখানার কাছেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের যে দলীয় কার্যালয় রয়েছে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুব তৃণমূলের দুই নেতা বিজয় ও অধীরের উপর মদ্যপ বিজেপির লোক জন লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালায়। জখম ওই দুই নেতাকে তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব দ্রুত ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃণমূলের এবং জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু মাহাতো বলেন ” ওই কারখানার সাসপেন্ড হওয়া বিজেপির কর্মী এবং আরও বাইরের বিজেপির লোকজন কারখানার গেট আটকে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচানার পর ওরা হঠাৎ করে মদ্যপ অবস্থায় আমাদের অঞ্চল যুব সভাপতি ও যুব বুথ সভাপতির উপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় তারা ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি আছে। বিজেপির এখন আর কোন রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। তাই হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। “

অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে জানতে বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাতোকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *