যাদবপুর নিয়ে গণ্ডগোল, প্রবল বিতর্ক বিধানসভা অধিবেশনে

কলকাতা, ২২ আগস্ট (হি স)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘দেশ বিরোধী শক্তির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে যাদবপুর। উগ্র বাম সংগঠন সক্রিয় সেখানে।’’

বিধানসভায় শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর নির্দেশে সিসিটিভি লাগানো ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । তা পালন করা হয়নি। আমি ১৭ জন বিধায়ককে নিয়ে ছাত্রের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেছি। কেন বিচারপতির নির্দেশ কার্যকর হল না কেন? জবাব দিন ব্রাত্য বসু।’’

বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিলেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। কেন তাঁর মেয়াদ শেষের আগে কেন সরানো হল? মাদক পাচার চক্র এবং দেশ বিরোধী শক্তিদের সরাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এই ঘটনার পর সরকার কী ব্যবস্থা নেবে?’’

পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে যাদবপুরের ঘটনায় রাজ্যপালকে দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বলেন, ‘‘পরিবারের যে ছেলেটি চলে গেল তাকে ফেরাতে পারব না। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা বলেছেন। হিমাচলে এক ডাক্তারি ছাত্রকে র‌্যাগিং করে মেরে ফেলা হয় ২০০২ সালে। রাঘবন কমিটি সেই সময় সুপারিশ করে। সেই সুপারিশ এবং আদালতের নির্দেশ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরেও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং চলছে। খড়গপুরে র‌্যাগিং হয়েছে।’’

তার পরই বিধানসভায় হইচই শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা।