কলকাতা, ২২ আগস্ট (হি স)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে অদ্ভুদভাবে সক্রিয় ইডি। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তদন্তের নামে অত্যাচার করা হচ্ছে। নাম না করলেও মমতা বুঝিয়ে দেন, অভিষেক দেশে ফিরতেই সক্রিয় হয়েছে ইডি। তদন্তের নামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্যায়ের কথা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার রাতেই আলিপুরের একটি সংস্থা-সহ কালীঘাটের কাকুর একাধিক ঠিকানায় রাতভর তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলেছে সেই তল্লাশি অভিযান।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্ণধার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য এই সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে রয়েছেন।
এদিন নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বাড়িতে রোজ অত্যাচার করছে। কালকেও সারারাত না জানিয়ে হঠাৎ করে চলে গিয়েছে ৪-৫টা জায়গায়। আমাকেও কেউ বলেনি। আমি সকাল ৬টায় জানতে পারলাম আইনজীবী মারফত। ছেলেটা সবে বিদেশ থেকে এসেছে, আর শুনছি বাবুরা বেরিয়ে পড়েছে।”
মমতার অভিযোগ, এই তল্লাশি, হানা দেওয়া সবটাই বেআইনি। তিনি বলেন,”ধরুন আমার বাড়িতে কেউ গেল, বা আপনার বাড়িতে পুলিশ পাঠালাম। নিয়মটা কী? বাড়ির কাউকে জানাবে। বা বাড়ির কাউকে ডেকে কথা বলবে। তল্লাশি করতে হলে বাড়ির লোকেরাও থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তুমি একটা জায়গায় যাচ্ছ তল্লাশির করতে তালা ভেঙে ঢুকছ, জানাচ্ছ না। বাড়িতে যদি কেউ না থাকে? ধরুন বন্ধ। তাছাড়া যদি কেউ চা করার লোকও থাকে তাঁকেও ঘর থেকে বের করে দিচ্ছ। সে জানে না। তুমি যদি কারও বাড়িতে যাচ্ছ, না জানিয়ে, তাঁর তো নিরাপত্তার কারণও আছে।
তুমি যে লুকিয়ে বিস্ফোরক বা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না, কে নিশ্চয়তা নেবে। তুমি যদি কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্স করে নিয়ে ঢুকছ না। জানাবার কোনও জায়গা নেই। এটা আইনি নয়, বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাংলায় চলছে।”

