কলকাতা, ১৬ আগস্ট (হি স)। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
তাঁর এই এক দিনের সফরের জন্য কলকাতায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে যান রাজভবনে। তার পর গার্ডেনরিচ শিপিং ইয়ার্ডে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আবার বিকেলেই রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। ১০টা ২৫ মিনিটে তাঁর কনভয় বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাজভবনে রাষ্ট্রপতি পৌঁছন সকাল ১১টার কিছু পরে। সেখানে ব্রহ্ম কুমারীদের আয়োজিত ‘নেশামুক্ত ভারত অভিযান’-এ যোগ দেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজনের পর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রাষ্ট্রপতি গার্ডেনরিচের উদ্দেশে রওনা দেন।
সেখানে বিন্ধ্যাগিরি জাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ ভারতীয় নৌবাহিনীর ১৭এ প্রজেক্টের অন্তর্গত ছ’নম্বর জাহাজ এই বিন্ধ্যাগিরি ৷ গার্ডেন রিচে শিপ বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের এই অনুষ্ঠানে জাহাজের পথ চলার সূচনা করছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ কর্ণাটকের পর্বত শৃঙ্গের নাম অনুসারে যুদ্ধ জাহাজের নামকরণ করা হয়েছে বিন্ধ্যাগিরি ৷ এই যুদ্ধজাহাজে অত্যাধুনিক অস্ত্র, সেন্সর এবং প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে ৷ বিন্ধ্যাগিরির আগে আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি যুদ্ধজাহাজ ১৯৮১ সালের ৮ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১২ জুন পর্যন্ত নৌবাহিনীর হয়ে কাজ করেছে ৷ এবার বিন্ধ্যাগিরির পথ চলা শুরু করবে।
প্রজেক্ট ১৭এ-র অধীনে এই জাহাজগুলির ডিজাইন ভারতের নিজস্ব ৷ যুদ্ধজাহাজের ডিজাইন প্রণেতা সংস্থা ভারতীয় নৌবাহিনীর ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো বিন্ধ্যাগিরির ডিজাইন করেছে ৷ ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর আওতায় তৈরি এই জাহাজটির ৭৫ শতাংশ যন্ত্রপাতি দেশের নিজস্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি সরবরাহ করেছে ৷ বিন্ধ্যাগিরির আগে প্রজেক্ট ১৭এ-র প্রথম পাঁচটি জাহাজের পথ চলা শুরু হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর দ্রৌপদী মুর্মু প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন ২৭ মার্চ৷ সেবার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে গার্ড অফ হনার দেওয়া হয়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷