খেতাব জয় ও ভালো খেলা, লক্ষ্য দুটোই এগিয়ে চল-‌র নেতৃত্বে স্টিফেন পল ডার্লং

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ আগস্ট।।লক্ষ্য একটাই। রাজ্যবাসীকে ভালো খেলা উপহার দেওয়ার পাশাপাশি মরশুমে দ্বিমুকুট জয় করা। তা মাথায় রেখেই ভিনরাজ্যের একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার নিয়ে এবছর দল গড়লো ময়দানের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এগিয়ে চল সঙ্ঘ। গেলোবছর শিল্ড জয়ী ক্লাবে এবছর রয়েছে ভিনরাজ্যের ১০ জন প্রতিভাবান ফুটবলার। যাদের হাত ধরে এবারও শীর্ষ স্থান বজায় থাকবে আশা সবুজ-‌হলুদ দলের কর্তাদের। বুধবার ক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে দৃঢ়তার সঙ্গে একথা জানান সচিব সুমন্ত গুপ্ত। এবছর এগিয়ে চলো সঙ্ঘকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিফেন পল ডার্লং। ডেপুটি হিসাবে থাকবেনাসিফ আলি মোল্লা। বৃহস্পতিবার থেকে মরশুম শুরু করছে এগিয়ে চলো সঙ্ঘ। প্রতিপক্ষ বীরেন্দ্র ক্লাব। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে আজ বিকেল ৩ টায় শুরু হবে ম্যাচটি। রাখাল শিল্ড নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। প্রতিপক্ষ কিছুটা দুর্বল হলেও যথেষ্ট সতর্কতায় মোড়া সুজিত হালদারের ছেলেরা। যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিপক্ষ দলকে, তা স্পষ্টভাবে জানালেন কোচ সুজিত হালদার। তবে কোচের মূল সমস্যা গোটা দলকে নিয়ে একসঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ পাননি। দলে ১৭ জন ফুটবলার থাকলেও বুধবার অনুশীলনে ছিলেন ১৫ জন ফুটবলার। তারপরও মরশুমে সাফল্য পাওয়া নিয়ে আশাবাদী ক্লাব। এদিকে বিদেশী ফুটবলার না থাকায় আসরের আকর্ষন কিছুটা হলে কমবে মনে করছেন এগিয়ে চলো সচিব। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, “স্থানীয় ফুটবলার তোলার জন্য ফেডারেশনের ওই উদ্যোগ আগামীদিনে সফল হবেই”। ‌এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দলনায়ক স্টিফেন পল ডার্লং, সহ অধিনায়ক আসিফ আলি মোল্লা সহ ক্লাব কর্তাদের হাতে জার্সি তুলে দেওয়া হয়। এবছরও ক্লাবের জার্সি স্পনসর করে হিরো দ্বীপের কর্ণধার দ্বীপ দেবনাথ। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সভাপতি চঞ্চল নন্দী, সহসভাপতি রাণা সাহা,যুগ্ম সচিব পরিমল সাহা, ফুটবল দলগঠনের দাযিত্ব থাকা দীপক বনিক , সদস্য গৌতম রায় এবং সুবল সাহা। দল:‌ বুদ্ধ দেববর্মা, নিমডুপ লেপচা, এম জয়ানন্দ সিং, আসিফ আলি মোল্লা (‌সহ অধিনায়ক), আফজল আনসারি, স্টিফেন পল ডার্লং (‌অধিনায়ক)‌, কৌতল জমাতিয়া, শিবা দেববর্মা, মহ:‌ শাহজাহান,বিকি থাপা, কর্ণ কলই, এমসা, পেম্বা রাই, রাজীব সাধন জমাতিয়া,‌ জাবেদাই ডার্লং, নাইসা জমাতিয়া এবং নিমা লেপচা। কোচ:‌ সুজিত হালদার, সহকারি কোচ:‌ কর্ণেন্দু দেববর্মা, ম্যানেজার:‌ অশ্বিনী ধানুক। ‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *