জম্পুই জুড়ে আতঙ্ক, আরো বড় বিপদের আশঙ্কা, প্রশাসনের পদক্ষেপে ক্ষোভ পাহাড়বাসীর মধ্যে

আগরতলা, ১২ আগস্ট : জম্পুই পাহাড়ে ভূমি ধসের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের দেখা দিয়েছে । সমগ্ৰ জম্পুই পাহাড় জুড়েই যেন স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দ পতন হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহে দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ ছিল প্রকৃতির রূপে ঘেরা জম্পুই পাহাড়। কিন্তু হঠাৎ করে জম্পুই পাহাড়ের ত্লাক্সি গ্রামে ফাটল ধরে বহু বাড়িঘর বিপদজনকভাবে ধসে পড়েছে । ইতিমধ্যেই সরকারি হিসেবে  আটটি পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি আরো  কিছু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । জানা গেছে  সরকারী ভাবে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে। ফাটল এলাকা ত্যাগ করে যেন অন্য জাগায় ঘর বানাতে পারে ক্ষতিগ্রস্থরা এর জন্যই সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার উত্তর জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক বিপ্লব দাস, কাঞ্চনপুর মহাকুমা শাসক রাহুল মোদী এবং জম্পুই আর ডি ব্লকের বিডিও নবারুণ ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। দেখা যাচ্ছে গোটা জম্পুই পাহাড়ে ফাটল বিস্তার করতে শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেn ভাংমুন যাওয়ার পথে সৎসঙ্গ আশ্রমের পাশে বিশাল ফাটল  দেখা দিয়েছে। যার ফলে ভাংমুন প্রবেশের গোটা রাস্তা ধসে  পড়ার আশংকা করছে বাস্তূকাররা। ফলে যেকোনো সময় সম্পুর্ন জম্পুই পাহাড়ের সাথে রাজ্যের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে । অথচ এখন পর্যন্ত  এই ফাটলের কারন খুঁজে পাচ্ছে না বিশেষজ্ঞ দল  । এদিকে  জম্পুই পাহাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ একদিকে তারা  আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে । অন্যদিকে প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়েই তাদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেছে । যেন প্রশাসনের দায়সাড়া গোছের মনোভাব দেখা যাচ্ছে । জম্পুই বাসীদের অভিযোগ এত বড়ো প্রাকৃতিক ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে তারা, অথচ  উত্তর জেলার জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি এখনো পর্যন্ত জম্পুই পরিদর্শন করছেন না। তিনি অধস্তন অতিরিক্ত জেলাশাসক বিপ্লব দাসকে পাঠিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। অথচ পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে এই মুহূর্তে জম্পুই পাহাড়ে যদি কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাহাড়বাসী। আরো বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *