নয়াদিল্লি, ১০ আগস্ট (হি.স.): লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। বৃহস্পতিবার সংসদের তাঁর আচরণের জন্য স্পিকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হল। প্রিভিলেজ কমিটিতে অধীর চৌধুরী সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। পালটা রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সংসদ থেকে সাসপেন্ড থাকবেন কংগ্রেস সাংসদ ।
বৃহস্পতিবার সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে দীর্ঘ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । অভিযোগ, সেসময় বারবার কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তাঁকে টিপ্পনি করছিলেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিরক্ত করা’র মতো অভিযোগ আনেন। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। উল্লেখ্য, এদিন মোদী তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে কংগ্রেসকে বিঁধেও অধীর চৌধুরীর প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখান। অভিযোগের সুরে বলেন, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে ‘সাইডলাইন’ করছে দল। প্রশ্ন তোলেন, বাংলা থেকে কি ফোন এসেছিল যে তাঁকে এভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে? আর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই অধীর চৌধুরীর উপর নামল সাসপেনশনের খাঁড়া।
এনিয়ে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর বক্তব্য, বিরোধী সাংসদদের এভাবে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, আইএনডিআইএ জোট নিয়ে বিজেপি ভীত এবং সেই কারণে তাঁদের কাজেকর্মে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু এভাবে আমাদের পিছু হঠানো যাবে না। আমরা প্রতিবাদের স্বর আরও উঁচুতে তুলব এবং দিনশেষে আমরাই জিতব।”
এদিন আইএনডিআইএ জোটের শরিক হিসেবে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমের একসঙ্গে থাকা নিয়ে রীতিমতো খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করে, দিল্লিতে হাতে হাত রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে সরব হন তিনি। পাশাপাশি সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের দ্বন্দ্বের কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন, ‘‘মনে করে দেখুন, এই বামপন্থীরা আপনাদের ভোটে হারিয়ে দিয়েছিল। এখন তাঁদের সঙ্গে আপনাকে জোট করতে হচ্ছে! অতীতের কথা এত সহজে ভুলে গেলেন?