বারাকপুর, ৬ আগস্ট (হি.স.): আগামী ২ অক্টোবর ‘দিল্লি অভিযান’ ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে রাজধানীতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন অর্জুন সিং। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস । উত্তর ২৪ পরগনার জেলার একটি ধরনা কর্মসূচি থেকে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এমনই হুঙ্কার দিলেন সাংসদ অর্জুন সিং।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আজ জেলার ভাটপাড়া বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির তরফ থেকে কাকিনাড়া মানিক পীর বাজারে গণ অবস্থান শুরু করলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং। এছাড়াও ছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ, কাউন্সিলর অমিত গুপ্তা, জিতেন্দ্র সাউ, গোপাল রাউত, তৃণমূল নেতা মন্নু সাউ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে সেই ব্যাপারে মানুষকে বোঝাতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছি। অর্জুন আরও বলেন, ‘ওরা এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে আমরা আমাদের মত তার বিরোধিতা করছি। এমনকি ১০ লাখ এরও বেশি মানুষ নিয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ গড়ে তোলার কথা জানালেন সাংসদ।’ আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি কোণায় কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি। আগামী ২ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁর জেলায় একাধিক কর্মসূচি পালন করার কথাও ঘোষণা করেন অর্জুন।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস যোগদান করার পর কেন্দ্রের একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে সাংসদ অর্জুন সিংকে। এর আগে জুট মিলের সমস্যা নিয়েও কেন্দ্রের দরবারে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, একুশের মঞ্চে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের ঘেরাও অভিযান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতাকর্মী আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ওই বিজেপি নেতার বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য থাকলে তাঁরা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরতে না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৩৪১ ব্লকের সব বুথে এই কর্মসূচি চেয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। যদিও পরে সেই কর্মসূচি কিছুটা শুধরে দেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” মমতার কথায়, ‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’ জল গড়ায় আদালতে। আদালতের ভর্ৎসনার পর দিন বদলে ৬ আগস্ট অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব । আজ ব্লকে ব্লকে সেই কর্মসূচিই পালন করছে তৃণমূল ।