রাজ্যে বেড়েছে চায়ের উৎপাদন , কমেছে আমদানি

 আগরতলা, ৪ আগস্ট : ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজ্যের মধ্যে ৯০ লক্ষ কেজি চা পাতা উৎপন্ন হয়েছে। রাজ্যে মোট ২২ টি চা পাতার ফ্যাক্টরি রয়েছে। আগরতলা কর্পোরেশনের অন্তর্গত দুটি ফ্যাক্টরির মধ্যে ৭ লক্ষ কেজির চা পাতা উৎপন্ন হয়েছে। ফলে রাজ্যে চা পাতার উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি কম করতে হচ্ছে। ফলে রাজ্য আর্থিক দিক দিয়ে মজবুত হচ্ছে। শুক্রবার আগরতলা টি কর্পোরেশনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান ত্রিপুরা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা। তিনি জানান, চা উৎপাদনের দিকে এ সরকারের সহযোগিতায় ত্রিপুরা কর্পোরেশন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। রাজ্য সরকার বামুটিয়াস্থিত লক্ষীগঙ্গা এবং তেপানিয়ালুঙ্গা নামে দুটি চা বাগান পরিচালনার জন্য কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের চা পাতা এখন বাইরে বাজারে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও চা শ্রমিকদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকার। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে থাকা চা শ্রমিকদের জমির অধিকার হিসেবে দুই গন্ডা করে জমি বিলি করেছে।এখন পর্যন্ত দুই হাজার শ্রমিক উপকৃত হয়েছে বলে জানান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান। তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য চা উন্নয়ন নিগম ফ্যাক্টরি আধুনিকরণের জন্য এন.ই.এ.সি-র নিকট প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল। সেই মোতাবেক সিমনার ব্রহ্মকুণ্ড টি ফ্যাক্টরি আধুনিকরণের জন্য দুই পর্যায়ে ইতিমধ্যে কিছু অর্থ পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৩ লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯৮ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। ব্রহ্মকুন্ড টি ফ্যাক্টরি আধুনিকরণের জন্য গ্রামোন্নয়ন দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর ইতিমধ্যে টেন্ডার ডেকেছে। পাশাপাশি মাছমারাতে নতুন করে একটি মিনি টি ফ্যাক্টরি করা হচ্ছে। সেখানে ইতিমধ্যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমকে সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগস্ট মাসের মধ্যে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগম এই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকবে। শুক্রবার ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংবাদ জানান ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো জানান খাদ্য দপ্তরের সহায়তায় ২০১৯ সাল থেকে সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে চা পাতা সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমদিকে আগরতলা শহরের রেশনশপ গুলিতে ১০০ গ্রাম ওজনের চা পাতার প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছিল। বর্তমানে সমগ্র রাজ্যের রেশন শপ গুলিতে ত্রিপুরেশ্বরী ব্র্যান্ডের চা পাতা সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি মাসে ২৫ হাজার কেজি চা পাতার চাহিদা রয়েছে। বছরে তিন লক্ষ কেজি চা পাতা সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের এম.ডি মানিক লাল দাস সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *