BRAKING NEWS

আপডেট…গত নয় বছরে খেলাধুলায় অসাধারণ পরিবর্তন হয়েছে উত্তরপূর্বে : কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ- মণিপুরে স্থাপন হয়েছে দেশের প্ৰথম জাতীয় ক্ৰীড়া বিশ্ববিদ্যালয়

নয়াদিল্লি, ৩ আগস্ট (হি.স.) : গত নয় বছরে খেলাধুলায় অসাধারণ পরিবর্তন হয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

আজ রাজ্যসভায় এক দৃষ্টি আকর্ষণী প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খেলাধুলার প্রশংসনীয় বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘লুক ইস্ট পলিসি’ থেকে ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’-তে পরিবর্তিত করায় ওই অঞ্চলে ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে অভূতপূর্ব প্রেরণা দিয়েছে।

অনুরাগ বলেন, ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র অংশ হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় দুটি খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে, যা ক্রীড়া ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং তরুণ ক্রীড়াবিদদের তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে উৎসাহিত করবে। মন্ত্রী ঠাকুর বলেন, ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ২২৭টি খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, এখানেই থেমে নেই, সরকার বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত করতে ৫২০.৭ কোটি টাকার ক্রীড়া কার্যক্রম সম্পর্কিত ৭৫টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তদুপরি সম্প্ৰতি তিনটি জাতীয় উৎকৰ্ষ সাধন কেন্দ্ৰ, ১২টি সাই প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ এবং ২২টি স্বীকৃতিপ্ৰাপ্ত অ্যাকাডেমিও আছে উত্তরপূর্বে।

তিনি বলেন, মণিপুরে ৬৩৪.৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের স্থাপন করা হয়েছে প্ৰথম জাতীয় ক্ৰীড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র অঙ্গ হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় দুটি খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে, যা ক্রীড়া ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং তরুণ ক্রীড়াবিদদের তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে উৎসাহিত করবে।

মন্ত্রী ঠাকুর বলেন, ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রত্যেক জেলায় দুটি করে মোট ২২৭টি খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে। এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খেলোয়াড়দের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারের দায়বদ্ধতা প্ৰতিফলিত করছে।

উল্লেখ্য, খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের বলে প্ৰথম খেলো ইন্ডিয়া গেমস নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই খেলার ৩,০০০ জন খেলোয়াড় অংশগ্ৰহণ করেছিলেন। কেবল তা-ই নয়, গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় খেলো ইন্ডিয়া গেমসে ৬,১০০ জন খেলোয়াড় অংশগ্ৰহণ করেছিলেন। এর ফলে সকলে উৎসাহিত হয়েছেন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্ৰীড়া ক্ষেত্র এক দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, চলতি বছরের এপ্ৰিল মাসে মণিপুরের ইমফলে রাজ্য ও কেন্দ্ৰশাসিত অঞ্চলের যুবপরিক্ৰমা ও ক্ৰীড়ামন্ত্ৰীদের দুদিবসীয় ‘চিন্তন শিবির’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই শিবিরে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্ৰশাসিত অঞ্চল থেকে ১০০ জনের বেশি আমন্ত্ৰিত অতিথি অংশগ্ৰহণ করে কীভাবে ক্ৰীড়া ক্ষেত্ৰকে এগিয়ে নেওয়া যায়, তার জন্য উপায় উদ্ভাবন ও পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূৰ্ণ আলোচনা হয়েছে।

অনুরাগ ঠাকুর বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ক্ৰীড়াবিদ যথাক্ৰমে মেরিকম, মীরাবাই চানু, বাইচুং ভুটিয়া, শিব থাপা এবং লাভলিনা বড়গোহাঁই অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রভৃতি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ইভেন্টে খেলে পুরস্কার জিতে দেশের গৌরব, সম্মান বর্ধিত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *