BRAKING NEWS

দোকান ভাঙচুর, ব্যবসায়ীকে থানায় তুলে আনার প্রতিবাদে মধুপুর থানা ঘেরাও এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জুলাই৷৷ নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বৈধ উপায়ে ব্যবসাকারী ব্যবসায়ীদের উপর পুলিশী নির্যাতনের ঘটনায় মধুপুর বাজার এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ ব্যবসায়ী ও অপর এক সাধারণ ব্যক্তিকে থানায় তুলে নিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে এলাকার জনগণ দীর্ঘক্ষন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ শনিবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ মধুপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর অনিমেষ পাল কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে মধুপুর পশ্চিম পাড়া এলাকায় বিভিন্ন দোকানে হানা দেন৷  থানার নাকের ডগায়  মধুপুর বাজারের প্রায় দোকানের মধ্যেই অনবরত মদ বিক্রি করছে এবং মদ পান করছে৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পুলিশ অফিসার তাদেরকে গ্রেফতার করেনি৷ গ্রামের ভেতরে পশ্চিমপাড়ায় রাকেশ দাসের একটি দোকান রয়েছে যার মধ্যে হরেক রকমের জিনিস বিক্রি হয়৷ তেল মসলা থেকে আরম্ভ করে সবকিছু৷ সেখানে গিয়ে রাকেশ দাসকে জিজ্ঞেস করে অনিমেষ পালের দোকানে কোন অবৈধ জিনিস আছে কিনা৷তখন রাকেশ দাস সাফ জানিয়ে দেয় যদি কিছু পেয়ে থাকেন তাহলে নিয়ে নিন ,কোন সমস্যা নেই৷ কিন্তু নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে অনিমেষ পাল অনেক লোকের সামনেই তাকে বিশ্রী বাসা ব্যবহার করতে থাকে৷ শুধু তাই নয়৷ তার দোকানে প্রবেশ করে সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়৷ দোকানে বসেছিল দিনমজুর নান্টু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি৷ রাকেশ দাসের সাথে কিছু বুঝে উঠতে না পেরে নান্টু বিশ্বাসকে দোকান থেকে উঠিয়ে থানায় নিয়ে আসে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে৷ আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকার পুরুষ মহিলারা৷ সকলের একটাই বক্তব্য রাকেশ দাস কখনো মদ পান করেনি কিংবা মদের ব্যবসা করেনি৷ তাকে কেন হয়রানি করবে পুলিশ৷  দোকানে কি ব্যবসা করতে পারবেনা পুলিশের যন্ত্রণায়৷ ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার জনগণ জড়ো হয়ে মধুপুর থানায় ঘেরাও করে রাত এগারোটা নাগাদ৷ দীর্ঘ কথার পর জনগণের কাছে মাথা নত করতে হলো সাব ইন্সপেক্টর অনিমেষ পালকে৷ পরবর্তী সময়ে নান্টু বিশ্বাসকে ছাড়তে বাধ্য হলো৷ ইদানিংকালে মধুপুর থানার একাংশ অফিসার কিংবা পুলিশ মধুপুর থানাটিকে নিজের ঘরের সম্পদ ভেবে লুটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে৷ অথচ কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না৷ থানার বড়বাবু সহজ সরল প্রকৃতির পেয়ে যে পারে লুটে পুটে খাচ্ছে থানা থেকে৷ শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশের প্রতি এলাকার জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলো৷  পুলিশ রক্ষকের ভূমিকা পালন না করে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *