পাথারকান্দি (অসম), ২২ জুলাই (হি.স.) : অবশেষে স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের বদান্যতায় বাড়ি এল বেঙ্গালুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় হত পাথারকান্দির যুবক নারায়ণ দাসের নশ্বর দেহ।
পরিবার প্রতিপালনের তাগিদে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সিকিউরিটির কাজ করতেন পাথারকান্দি থানাধীন কুর্তিছড়া গ্রামের নিরঞ্জনচন্দ্র দাসের বছর ২১-এর ছেলে নারায়ণ দাস। কিন্তু গত বুধবার নিজের বাই-সাইকেলে চড়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দ্রুতগামী একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরতর আহত হন নারায়ণ। তড়িঘড়ি তাঁকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ নারায়ণ দাস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নারায়ণ দাস গরিব পরিবারের সন্তান। তাই তাঁদের পক্ষে বেঙ্গালুরু থেকে নারায়ণের মৃতদেহ তাঁর নিজের বাড়িতে নিয়ে আসার সামর্থ ছিল না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন মৃতের পরিবারের লোকজন। তাই এ ব্যাপারে তাঁরা সরকারি সাহায্যের জন্য এলাকার বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, পাথারকান্দির রাজস্ব সার্কল অফিসার তথা প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার (জেলাশাসক) মৃদুল যাদব (আইএএস)-এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন।
বিষয়টি কানে যায় কলকলিঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি কল্প দেবের। তিনি পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেন। বিধায়ক প্রয়াত নারায়ণের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসতে ভাড়া বাবদ ৬৫ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে দেন। ওই টাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে মৃতদেহ আগরতলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সোজা নারাণের নশ্বর দেহ কুর্তিছড়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বিধিবলে ক্রিয়াকর্ম শেষ করে প্রয়াতের অন্ত্যেষ্টিকার্য সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে বিধায়কের এহেন কাজে সাধুবাদ জানানো হচ্ছে বিভিন্ন মহল।