দুর্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ, আক্রান্ত ১৪, প্রতিরোধে তৎপর জেলা স্বাস্থ্য দফতর

দুর্গাপুর, ২১ জুলাই (হি. স.) গত দু বছর ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। তার ওপর রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। লাটে উঠেছে সাফাই কাজ। শ্রাবনের শুরুতেই বাড়ছে মশা বাহিত ডেঙ্গু সংক্রামক। দুর্গাপুর পলাশডিহা ১৪ জনের শরীরে মিলল ডেঙ্গু। নজরে পড়তেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোর তৎপরতা শুরু করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

ঘটনায় জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে সর্দি জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে দুর্গাপুর ৩২ নং ওয়ার্ড পলাশডিহায় বেশ কয়েকজনের জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। খবর পেয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসে। বৃহস্পতিবার এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করে। এলাকার ১৪৯ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, যার মধ্যে ১৪ জনের নমুনায় ডেঙ্গু এনএস-ওয়ান পজেটিভ পাওয়া যায়। আক্রান্তরা সকলে আপাতত বাড়িতে চিকিৎসাধীন। নমুনা মিলতেই পরীক্ষার জন্য জমা জলে মশার লাভা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনার খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় নিয়মিত নিকাশী সাফাই না হওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। যদিও এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি সাফাই কাজ শুরু করে। এলাকায় মশা দমনের জন্য কিটনাশক ছড়ানো শুরু হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর কাঁকসার বসুধায় এক ডেঙ্গু আক্রান্ত স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়। তারপরই নড়ে চড়ে বসে পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চলতি বছর আবার জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত শিল্পাঞ্চলবাসী। যদিও গ্রামীন এলাকায় গত দু বছর ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। তার ওপর পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে লাটে উঠেছে সাফাই কাজ। যত্রতত্র জমা জঞ্জাল। মুখ থুবড়ে পড়েছে জনবসতি এলাকার ওপর দিয়ে যাওয়া সেচ ক্যানেল গুলি। আর তাতেই সামন্য বৃষ্টিতে নিকাশীর নোংরা জল উপচে পড়ছে। বদ্ধ নোংরা জলে বাড়ছে ডেঙ্গি মশার আতুঁড়ঘর।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সেখ মহম্মদ ইউনুস জানান,” পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে। এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। গোটা এলাকায় মশা দমনে কিটনাশক ছড়ানো হয়েছে। সকলকে মশারী ব্যাবহারের জন্য বলা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *