কলকাতা, ১৯ জুলাই (হি. স.) : পশ্চিমবঙ্গে দলের দুর্বল সংগঠনের মধ্যেই প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনসভা করতে হবে। এতে রীতিমত মাথায় হাত রাজ্য নেতৃত্বের। এমনিতেই দলের রাজ্য নেতা বলতে সেভাবে তিন জন। তাও এঁদের মধ্যে এবং দলের বিভিন্ন স্তরে মিলমিশ রয়েছে কতটুকু, তা নিয়ে অহরহ প্রশ্ন ওঠে।
সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রতিটি আসনে বিজেপির তিন বা চারটি করে মণ্ডল রয়েছে। ২৯৪ আসন মিলিয়ে মোট মণ্ডলের সংখ্যা ১,২৬৩টি। এর মধ্যে সংগঠন দুর্বল এমন ২৬৩টি মণ্ডলে সভা হবে না। বাকি এক হাজারটিতে কবে সভা হবে তা খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে বলে রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এখন দলের ১৬ জন সাংসদ এবং ৬৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। সকলেই এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ঠিক হয়েছে, কোনও বড় সভা হবে না। তবে প্রতিটিতে যাতে কমপক্ষে দু’হাজার কর্মী-সমর্থক জড়ো করা যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। গোটা রাজ্যেই এই সভাগুলি আয়োজন করবেন স্থানীয় জেলা নেতৃত্ব। স্থানীয় সাংসদ, বিধায়কেরাও থাকবেন। বাছাই কিছু সমাবেশে হাজির থাকবেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ অধিকারীর মত শীর্ষ নেতারা।
এই সব সভায় কী বিষয়ে সাধারণ মানুষের সামনে বক্তৃতা করতে হবে সেটাও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঠিক করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর ন’বছর পূর্ণ হয়েছে সম্প্রতি। এই ন’বছরে কেন্দ্র কী কী প্রকল্প চালু করেছে, তাতে কেমন সাফল্য এসেছে— সে সবই মূলত বলতে হবে।
এই কর্মসূচি চলার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও এক বার করে রাজ্যে আসতে পারেন। তবে সেটা এই কর্মসূচির অঙ্গ হবে না। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে গিয়েছিল, এমন কোনও আসন এলাকায় দুই শীর্ষ নেতা জনসভা করবেন। সেই এলাকার নেতা, কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলবেন।