২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে জনজাতিদের উন্নয়নে ৩৯.৮১ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রেখেছে ত্রিপুরা সরকার : রতন লাল নাথ

আগরতলা, ১৯ জুলাই (হি.স.) : ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য ৩৯.৮১ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রেখেছে ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরার ইতিহাসে প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে বাজেটে অধিক অর্থ বরাদ্দ রেখেছে। আজ প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জোর গলায় একথা বলেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাঁর কটাক্ষ, বাজেটে জনজাতিদের জন্য কেবলমাত্র ২ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রাখার বিষয়টি তুলে ধরে কতিপয় রাজনৈতিক দল নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

এদিন শ্রী নাথ বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের মূল বাজেট থেকে কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি, ঋণ ও সুদ পরিশোধ, পেনশন এবং অন্যান্য অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের অর্থ বাদে ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বাকি ১৪ হাজার ৮৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সংবিধানের নিয়মানুযায়ী জনজাতিদের স্বার্থে বাজেটে ৩১ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রাখার অধিক টাকা ত্রিপুরার সরকার বরাদ্দ রেখেছে। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার ইতিহাসে প্রথম কোনো সরকার সর্বকালীন রের্কড স্থাপন করেছে।

সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে জনজাতিদের জন্য ৩৮.৪০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ রাখেছিল। তেমনি ১৯-২০ অর্থবছরে জনজাতিদের জন্য সরকার খরচ করেছে বাজেটের ৩৯.৫২ শতাংশ অর্থ। প্রত্যেক বছর জনজাতিদের জন্য বাজেটে টাকা ৩১ শতাংশেরও বেশি রেখেছে ত্রিপুরা সরকার।

তাঁর কটাক্ষ, জনজাতিদের সার্বিক উন্নতির জন্য ত্রিপুরার সরকার যে বাজেট পেশ করেছে কতিপয় রাজনৈতিক দল ভুল তথ্য সেই জনজাতিদের কাছে তুলে ধরছে। বিধানসভায় রাজ্যের স্বার্থে গঠনমূলক আলোচনা না করে, ত্রিপুরার উন্নয়নকে ব্যহত করছে বিরোধী দল।

তাঁর দাবি, রাজনৈতিক দল নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য রাজ্যের সহজ সরল জনজাতিদের বিভ্রান্ত করছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতে কোনো রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারের মতো জনজাতিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।