নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুলাই৷৷ মুখ্যমন্ত্রীর সুশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনগর বিধানসভা জুড়ে চলছে তোল্লা আর হরির লুটের বাণিজ্য৷ নেতা মানেই কি তোল্লা আদায় করা৷ নেতা মানেই কি লুটেপুটে খাওয়া৷ নেতা মানেই কি দুর্নীতি করা৷ সুশাসনের রাজত্বে কার মদতে চলছে নেতাদের এই ধরনের কীর্তি কান্ড৷ এ নিয়ে রাজনগর বিধানসভা জুড়ে উঠেছে প্রশ্ণ৷ পঁচিশ বছরের বাম রাজত্বকে বিদায় দিয়ে রাজ্যের জনগণ বহু আশা নিয়ে বিজেপি দলকে ১৮ সালে ক্ষমতার মসনদে বসায়৷ পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বাম রাজত্বের সেই লুটরাজ রাম রাজত্বেও বহাল রইল৷ চারদিকে শুধু লুট বানিজ্য, নেশা ও তোল্লা বানিজ্যের নেশায় মত্ত হয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে নেমে পড়ে শাসক বিজেপি দলের কিছু অংশের নেতৃত্বরা৷ এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনগর বিধানসভা জুড়ে৷ জনগণের প্রকল্প নিয়ে ঘোটালা করে নিজের লক্ষ্মী ভান্ডার বৃদ্ধি করার অভিযোগ উঠেছে রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তর রাঙ্গামুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে৷ ভয়কে উপেক্ষা করে দলের নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন খোদ দলের কার্যকর্তারা৷ জলাশয় খনন করে দেবার নাম করে দলের এক কার্য কর্তার কাছ থেকে কিভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয় উত্তর রাঙ্গামুড়া শক্তিকেন্দ্রের ইনচার্জ বিলাস দেব সহ স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় কর্মকার ও সুমন দাস তার তথ্য তুলে ধরেন এক বিজেপির কর্মী৷ রাজনগর এগ্রিকালচার ও ফিসারি দপ্তর থেকে দুই লক্ষ টাকা ব্যায়ে জলাশয় খননের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর হয়৷ কিন্তু শক্তিকেন্দ্রের ইনচার্জ বিলাস দেব সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নেতৃত্বে জোর করে জলাশয় খননের নামে এই বিজেপির কর্মী থেকে ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ভয়-ভীতি দেখিয়ে৷এমনই অভিযোগ৷ এগ্রিকালচার দপ্তর থেকে যদি ২ লক্ষ টাকার জলাশয় খননের বরাদ্দ হয়ে থাকে তাহলে কেন এই বিজেপির কর্মীর কাছ থেকে জোর করে ডজার দিয়ে পুকুর কেটে টাকা হাতিয়ে নিল, এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ণ৷ আর্থিক প্রতারণার শিকার বিজেপি কর্মী আরো জানান,এই বিষয়ে বিধায়িকা স্বপ্ণা মজুমদার সহ মন্ডল সভাপতি রঞ্জিত সরকারকে জানানোর পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ যার ফলে প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে বিলাস দেবের মত নেতৃত্বরা৷৷ বিজেপি কর্মীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে নিচ্ছে৷ টাকা না দিতে চাইলে উল্টো বৃদ্ধ ভাতা ও রেগা থেকে বঞ্চিত যেমন হবে তেমনি রাবার বাগান কেটে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ৷ সময় মত টাকা দিতে না পারার ফলে বিজেপি কর্মীর ছেলেকে মারধর করে বিলাস দেবের সাঙ্গোপাঙ্গরা ,এমনই অভিযোগ৷ এই বিজেপি কর্মী জানায় ,বাম সরকারকে হটিয়ে রাম সরকার গঠন হওয়ার পর বহু খুশি হয়েছিলাম৷ ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে৷ কিন্তু আজ আমি হতাশা এবং অসহায়৷ এছাড়া আক্ষেপের সুরে আরো বলেন ,এই ধরনের লোক যদি বিজেপি দলে থাকে , তাহলে দলকে আর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না৷ দল থেকে এরকম দুর্নীতিবাজ লোকদের সরিয়ে দেওয়া হোক৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের সভাপতির কাছে আবেদন জানান৷
2023-07-18