উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ জুলাই (হি. স.) : জয়ের ব্যবধান মাত্র ৪১। কিন্তু তাতে উল্লাসে বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই। কারণ, কখনও তো ভাবেননি এভাবে জনসেবা করার সরকারি তকমা পাবেন!
দত্তপুকুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৮ নম্বর সংসদের ২১০ পার্ট থেকে জয়ী হলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিজেপি প্রার্থী সমরজিৎ ঘোষ। ফলাফল সামনে আসতেই নিজের জয় উৎসর্গ করলেন এলাকাবাসীদের প্রতি। ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে এই বছরই প্রথম ভোটের ময়দানে দাঁড়ান তিনি।
করোনাকালীন পরিস্থিতি এবং তার পরবর্তীতেও অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে মানুষের পাশে থাকেন ভোটে জয়ী এই প্রার্থী। আর তাই ফলাফল সামনে আসতেই নিজের জয় উৎসর্গ করলেন এলাকাবাসীদের প্রতি। পাশাপাশি তিনি জানালেন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই হবে তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর মতে বহু ক্ষেত্রে এখনও মানুষের কাছে পরিষেবা সঠিকভাবে পৌঁছয়নি।
তাঁর মতে বহু ক্ষেত্রে এখনও মানুষের কাছে পরিষেবা সঠিকভাবে পৌঁছয়নি। সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেবেন তিনি। বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা সহ সরকারি বাড়ির ক্ষেত্রেও এলাকাবাসীদের পাশে থেকে সর্বসম্মতভাবে সাহায্য করবেন দত্তপুকুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি-র জয়ী এই প্রার্থী।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, কোনও রাজনৈতিক দল দেখে নয়, বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদেরও সমান অধিকার থাকবে তাঁর প্রতি। পাশাপাশি কেউ কোনও সময় কখনও সমস্যায় পড়লে তাঁর পাশে দাঁড়াবেন দল না দেখেই বলে জানালেন জয়ী এই প্রার্থী। ভারতীয় জনতা পার্টির এই প্রার্থী জয়লাভ করায় খুশি কর্মী সমর্থকরাও। এদিন জয়লাভের পরই ভোটে জেতার শংসাপত্র হাতে নিয়ে রীতিমতো নিজের দায়িত্বের কথাই বারংবার স্মরণ করলেন বিজেপি-র গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী এই প্রার্থী সমরজিৎ ঘোষ।
এদিন তিনি বলেন, ‘জয় পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। করোনা মহামারির সময়টা সবার খুব খারাপ কেটেছে। সেই সময়ে যতটা সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। বহুদিন থেকেই আমি বিজেপি সমর্থক। তবে সেভাবে কোনোদিন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করিনি। কিন্তু এবার যখন দলের তরফ থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব পাই। তখন কিছুটা ভেবে দেখার সময় নিই। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে রাজি হই’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি হয়ত বিজেপি-র হয়ে জিতেছি।
কিন্তু যারা বিরোধী দলের সমর্থক বা ভোটার, তাঁদের প্রতিও আমার সমান দায়িত্ব থাকবে। আমার কাজই হবে দলীয় রঙ না দেখে সবার জন্য সমানভাবে কাজ করা। কারণ যে দায়িত্ব পেয়েছি সেটা কোনও দলের না, সমাজের ও মানুষের দায়িত্ব’।
সমরজিতের এই জয়ে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘সমরজিৎ খুব ভালো একজন মানুষ। তাঁর মতো মানুষকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পেয়ে এলাকার মানুষদের যথেষ্ট উপকার হবে’।

