৬৩ দিনব্যাপী বলবৎ ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারের নির্দেশ মণিপুর হাইকোর্টের

ইমফল, ৯ জুলাই (হি.স.) : প্ৰায় ৬৩ দিন যাবৎ চলমান ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করতে রাজ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে মণিপুর হাইকোর্ট।

গত ৩ মে থেকে মণিপুরে চলমান সহিংসতা, গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্য সরকার কর্তৃক আরোপিত দুই মাসব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করেছে। বীরেন সিং সরকারকে আদালত সুপারিশ করেছে, ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা পরীক্ষা করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাবিত সুরক্ষাগুলি মেনে চলার পাশাপাশি কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে গৃহ সংযোগের জন্য সীমিত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করার বিষয়ে বিবেচনা করা দরকার। আদালতের অন্তর্বর্তী আদেশ ২৫ জুলাই পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ‘হোয়াইট-লিস্টেড’ ফোন নম্বরগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগ পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করবে৷

প্ৰসঙ্গত, বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাবিত সুরক্ষার মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটের গতি ১০ এমবিপিএস-এ সীমাবদ্ধ করা এবং স্বরাষ্ট্র দফতর প্রদত্ত অনুমোদিত মোবাইল নম্বরগুলির একটি ‘হোয়াইট-লিস্টেড’ বজায় রাখা। পরিষেবা প্রদানকারীরা আশ্বাস দিয়েছে, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস একচেটিয়াভাবে এই ‘হোয়াইট-লিস্টেড’ মোবাইল নম্বরগুলিতে সীমাবদ্ধ থাকবে, যাতে কোনও অননুমোদিত অ্যাক্সেস বা তথ্য ফাঁস না হয় তা নিশ্চিত করে৷

ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের সম্ভাব্য অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ মোকাবিলা করতে সরকার প্রস্তাব করেছে, ‘হোয়াইট-লিস্টেড’ গ্রাহকরা তাঁদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মাধ্যমিক ব্যবহারকারীদের দ্বারা সম্পাদিত যে কোনও অবৈধ কর্মের জন্য ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা গ্রহণ করে। প্রাইমারি গ্রাহকদের সেকেন্ডারি ব্যবহারকারীদের একটি লগ এবং তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের বিবরণ বজায় রাখা বাধ্যতামূলক হবে।

মণিপুর সরকার উচ্চ আদালতকে আশ্বস্ত করেছে, সীমিত ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের জন্য ট্রায়াল পরিচালনা করবে. এছাড়া প্রস্তাবিত সুরক্ষাগুলি বাস্তবায়নে অগ্রগতির রূপরেখা দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

আদালতের এই নিৰ্দেশে এমন বাসিন্দাদের জন্য স্বস্তির বার্তা এনেছে, যাঁরা ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের দরুন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিল পরিশোধ, শিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রাইভেট ফার্মগুলির নিয়মিত কার্যাবলিগুলিকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *