স্পোর্টস স্কুলে চুক্তিভিত্তিক বহিরাগত ট্রেইনারদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জুলাই।। ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলে বহিরাজ্যের ট্রেইনার। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ট্রেইনারদের বিরুদ্ধে। মুখ খুলে বলতে পারছে না তবে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনেক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ক্রীড়া মহল ভাবতে অবাক হচ্ছেন। কোন রাজ্যে ওনারা বসবাস করছেন !বহিরাজ্য থেকে আগত কিছু সম্মানীয় ব্যক্তি ক্রীড়াদপ্তরের সহযোগিতায় এসে খেলো ইন্ডিয়া স্কীমে চুক্তিভিত্তিক চাকুরী নিয়ে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোয়ারা পেয়ে ফুলে উঠছেন,  স্পোর্টস স্কুলের তৈরী করা  ছাত্র ছাত্রীদের দায়িত্ব নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, বহি:রাজ্যের এক ম্যাডাম স্ট্রেন্থ কন্ডিশনিং এর নামে উল্টোপাল্টা শেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ। সুইমিং প্লেয়ার কে ক্লিনজার দেওয়াচ্ছেন যার ফলে একাধিক সাঁতারু অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে  খবর। এথলেট ট্রেইনার মোবাইল দেখে শেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ। যে স্প্রিন্টার তাকে হাটা, যে লংজাম্প এ ভালো পারফরম্যান্স  ছিল,  তাকে দিয়ে  লং-রান,  এক কথায় কাকে কি শেখালে রাজ্যের নাম ও সেই প্লেয়ার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে ওনার জানা নেই। জুডো  ট্রেইনার সাত মাসে ১৪ জন প্লেয়ারকে অসুস্থ করে দিয়েছেন।  সাঁতার ট্রেইনারেরও  সেই একই অবস্থা। সবথেকে বড় খবর জিমন্যাস্ট  প্লেয়ার এক মেয়েকে নাকি উল্টো-পাল্টা টেকনিক শেখাতে গিয়ে তার ঘাড়ের অবস্থা খারাপ করে দিয়েছেন(!)। সে এখন অসুস্থ, 

অথছ  যে প্লেয়ারদের ওনারা বর্তমানে শেখাচ্ছেন  তারা প্রত্যেকেই  রাজ্যের পিআই ও কোচদের  কাছে সেই ছোট বেলা থেকেই ট্রেনিং নিয়ে রাজ্যের ও নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, কয়েকদিন পূর্বের ঘটনা উপজাতি খেল উৎসবে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা ভালো রেজাল্ট করেছে,  ৫-৭ দিনের ক্যাম্প হয়েছিল তাদের ট্রেইন করেছে রাজ্যের শারীর শিক্ষক গন,  অথত গত চার জুলাই দশরথ দেব স্টেট স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বহি রাজ্যের ট্রেনারদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়,  কিন্তূ একবার ও রাজ্যের পিআই দের সম্মান দূরের কথা, নামও উচ্চারণ করা হয়নি বলে খবর। সমস্ত ক্রেডিট দেওয়া হলো বহিরাগত খেলো ইন্ডিয়ার কর্মীদের,  যাদের কোনও কৃতিত্ব ছিল‌ না বলা চলে।রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমীদের অনুরোধ ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী বাহাদুর,  অধিকর্তা ও আধিকারিকদের কাছে, ঐ  খেলো ইন্ডিয়ার কর্মীদের  থিওরেটিক্যাল নিয়ে চুক্তিভিত্তিক এক বছরের চাকুরী দেওয়া হয়েছে,  এখন তাদের  প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা নেওয়া হউক। তাহলেই জানা হয়ে যাবে রাজ্যের পিআই-দের থেকে ওনারা কত নিম্ন মানের ট্রেইনার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *