“টাকা আটকাইনি, চুরি আটকেছি”, দাবি শুভেন্দুর

নন্দীগ্রাম, ৫ জুলাই (হি. স.) : “১০০ দিনের কাজের টাকার চুরি আটকেছি। টাকা কিন্তু আটকাইনি।” বুধবার প্রকাশ্য সভায় এই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তাঁর বক্তব্য, লোক না দিয়ে জেসিপি দিয়ে মাটি কেটে মাস্টার রোল করেছে তৃণমূল সরকার। এই অঞ্চলে ২০০০ মানুষের টাকা নিয়েও তা দেয়নি রাজ্য সরকার। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা নিয়েও দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি সেরে এবার নির্বাচনের প্রচারে জেলায় জেলায় ঘুরছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকটি প্রচারে বলছেন, বাংলার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আর সেটি নিতান্তই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়েই। আর একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন।

অভিষেকের বক্তব্য, মানুষ যদি নিজের অধিকারকে সামনে রেখে লড়াই করে, আপনার টাকা আটকানোর ক্ষমতা কারোর নেই। একশো দিনের টাকা মোদী সরকার গায়ের জোরে আটকে রেখে দিয়েছে। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, বাংলার বকেয়া পাওয়া ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। একশো দিনের কাজের টাকা সাড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা।

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই তাঁর পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের একটি সভা থেকে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্য, একশো দিনের কাজের টাকা নিয়েও দুর্নীতি করছে রাজ্য সরকার। শুভেন্দুবাবু অভিযোগ করেন, কেন্দ্র মাতৃ বন্দনা স্কিমে ৫০০০ টাকা করে দিয়েছে। রাজ্য এই টাকা পাচ্ছেন না।

নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দুবাবু লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “বিজেপি আসছেই, তার পর ২০০০ টাকা দেবে।” নারায়ণগড়ে অভিষেকের সভার পাল্টা ছিল নন্দীগ্রাম শুভেন্দুবাবুর সভা। প্রত্যেকটি বিষয়েই তোপ পাল্টা তোপে তপ্ত বাংলা। তাতে মানুষের মনে কতটা প্রভাব পড়ল, উত্তর দেবে ভোটবাক্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *