শিল্প সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর
হাইলাকান্দি (অসম), ১ জুলাই (হি.স.) : গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে গত ১৩ এপ্রিল গিনিস বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডভুক্ত বিহু নৃত্যে অংশগ্রহণকারী হাইলাকান্দি জেলার ২১ জন শিল্পীকে ২৫ হাজার টাকা করে সাম্মানিক ও সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ, আবগারি ও মৎস্য দফতরের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। সরকারি অনুদানের টাকা দিয়ে নৃত্যশিল্পীদের শিল্প-সংস্কৃতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যয় করার আহ্বান জানান মন্ত্রী
আজ শনিবার হাইলাকান্দির জেলাশাসকের কার্যালয় সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সার্টিফিকেট ও সাম্মানিক তুলে দেওয়া হয়েছে। হাইলাকান্দির ২১ জন বিহু নৃত্যশিল্পীর মধ্যে ২০ জন চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করলেও অতিরিক্ত একজনকেও ২৫ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এর আগে আরও সাড়ে দশহাজার টাকা পেয়েছিলেন শিল্পীরা।
এদিন অসম সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য হাইলাকান্দি জেলার শিল্পীদের অভিনন্দন জানিয়ে রাজ্য সরকার ও স্কিল ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক দুটি শংসাপত্র প্রদান করেন। আজ ২০ জনকে শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। অতিরিক্ত একজনকে শংসাপত্র প্রদান না করলেও তাঁর জন্য নির্ধারিত অর্থ এসে গেছে বলে জানান জেলাশাসক নিসর্গ হিবরে।
জেলাশাসকের সভাকক্ষে বহু প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন জেলাশাসক নিসর্গ হিবরে। এছাড়া পুলিশ সুপার লীনা দলেও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পেশ করে শিল্পীদের শুভেচ্ছা জানান।
প্রসঙ্গত গত ১৩ এপ্রিল গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে অসম সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত মেগা ইভেন্টে ১১,২৯৮ জন ঢোল-বাদক ও বিহু শিল্পী সমবেত বিহু নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন। সমবেত নৃত্যে মনোমুগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পদাধিকারীরা। তার পরের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে গিনিজ বুক অব ওয়াৰ্ল্ড রেকৰ্ডস-এর পদাধিকারীরা অসমের বিহুনৃত্য বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বলে ঘোষণা করে নৃত্যশিল্পী ও ঢোল-বাদকদের জন্য দু-দুটি প্ৰমাণপত্ৰ তুলে দিয়েছেন। বিশ্ব রেকর্ডভুক্ত বিহুনৃত্যে হাইলাকান্দি জেলার ২০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আজ শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য শিল্পীদের অভিনন্দন জানিয়ে আগামীদিনেও দায়িত্ব সহকারে শিল্প-সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলাশাসক জ্যোতির্ময় দৈমারি সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর অন্তর্ভুক্ত বিহু নৃত্যের উপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেছেন শংকর চৌধুরী।