শিলচর (অসম), ২৯ জুন (হি.স.) : ইদ-উদ-জোহার দিন বেশ আনন্দেই ছিলেন কাছাড় জেলা সদর শিলচরের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। কিন্তু সকাল প্রায় ১১টার পর কোরবানিকে কেন্দ্র করে আচমকা উত্তপ্ত হয়ে কলেজ রোড লাগোয়া পঞ্চায়েত রোডে এক মসজিদ সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনার জেরে গাড়ি ভাঙচুর, এক সম্প্ৰদায় অপর সম্প্ৰদায়ের মানুষকে তেড়ে যাওয়া এবং সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটতে থাকে। ততক্ষণে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত এসে কড়া অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যে নিয়ন্ত্ৰণে আনে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করেছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ-এর বিশাল বাহিনী। এই খবর লেখা পর্যন্ত অশান্ত এলাকায় অবস্থান করছেন খোদ সাউদার্ন রেঞ্জের ডিআইজি কঙ্কনজ্যোতি শইকিয়া, পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো এবং সাধারণ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
কেউ কেউ দাবি করেছেন, আজ ঈদ উপলক্ষ্যে কোরবানি দেওয়া পশুর রক্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বী গৃহস্থদের বাড়িতে ছিটানো হয়েছে। তাতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আবার কয়েকজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির অভিযোগ, সকালে তাঁরা ঈদের নামাজ আদায়ের পর পঞ্চায়েত রোডে অবস্থিত মসজিদের পাশে কয়েকটি বকরি কোরবানি দিচ্ছিলেন। সে সময় কয়েকটি টোটো নিয়ে আসেন কতিপয়। তারা কোরবানির দৃশ্য ভিডিও রেকর্ডিং করে কোরবানিদাতাদের উদ্দেশ্যে গালাগালি দিচ্ছিলেন। তা থেকে প্রথমে বচসা এবং পরে উত্তেজনা। তাঁরা বলেন, অবশ্য ঘটনাটি এখন মিটমাট হয়ে গেছে।
এদিকে পঞ্চায়েত রোড সংযোগী কলেজ রোড তেমাথায় সড়ক অবরোধ করে উত্তাল প্রতিবাদে শামিল হন স্থানীয়রা। মুখে ছিল মুহুর্মুহু জয় শ্রীরাম ধ্বনী।
এদিকে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সাউদার্ন রেঞ্জের ডিআইজি কঙ্কনজ্যোতি শইকিয়া এবং পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো বলেন, বিবদমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। তা এখন মীমাংসা হয়ে গেছে। তবে ঘটনা যাতে আর বিস্তৃত না হয় এবং সর্বাবস্থায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাঁরা সর্বস্তরের জনতার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। তাছাড়া কোনও গুজবে কান দিতেও বারণ করেছেন পুলিশের দুই শীর্ষ কর্তা।

