নাবালিকা ধর্ষণ, ধুবড়িতে ২০ বছরের কারাদণ্ড অভিযুক্তের, জরিমানা লক্ষাধিক টাকা

ধুবড়ি (অসম), ২৮ জুন (হি.স.) : নিম্ন অসমের ধুবড়িতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত দায়রা তথা পোকসো আদালতের বিশেষ বিচারপতি। সাজাপ্রাপ্ত যুবক গোলকগঞ্জ থানার অন্তৰ্গত পোকালাগি পার্ট-৩ গ্ৰামের বাসিন্দা সবুর আলি।

জেলার অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিশেষ বিচারপতি, সবুর আলিকে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪১ ধারা এবং দ্য প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট বা পোকসো আইনের ৪(২), ৩৭৬ ধারা বলে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এক বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০০ টাকার জরিমান করেছেন।

অধিকন্তু, তাকে আইপিসির ৩৪২ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০০ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারপতি। এছাড়া আইপিসির ৩৬৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সবুর আলিকে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অবশেষে পোকসো আইন, ২০১২-এর ধারা ৪(২), ৩৭৬-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে ধৰ্ষক সবুর আলিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ রায়ে বিচারপতি বলে দিয়েছেন, সবগুলি সাজা একই সাথে চলবে।

স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পোকসো) উত্তমকুমার সরকার এ খবর দিয়ে জানান, ২০২০ সালের ২২ আগস্ট বিকাল ৫-টা নাগাদ ১৪ বছর বয়সি এক মেয়ে তাদের বাড়ির কাছে একটি মুদি দোকানে যাচ্ছিল। তখন অভিযুক্তরা তাকে জোর করে অপহরণ করে একটি টোটোয় তুলে পালিয়ে যায়। এর পর নাবালিকাকে খুঁজে বের করতে তার পরিবারের সদস্যরা বহু জায়গায় তালাশি চালান। একদিন তাঁদের মেয়েকে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে এক অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে সেখানে নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান।

পরবর্তীতে মেয়েকে উদ্ধার করে ওই সালের (২০২০) ৩ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে গোলকগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে গোলকগঞ্জ পুলিশ ৪ সেপ্টেম্বর (২০২০) সবুর আলি এবং ইয়ানুর আলি নামের দুজনের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৪১/৩৬৫/৩৪২/৩৪ ধারায় ৮০৮/২০২০ নম্বরে মামলা নথিভুক্ত করে তদন্তে নামে।

মামলা ওঠে ধুবড়ির এসডিজেএম-এর আদালতে। ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি কেস ডায়েরির উপাদান এবং ধারা ১৬৪-র অধীনে রেকর্ডকৃত বিবৃতির ভিত্তিতে মামলায় আইপিসি আর/ডব্লিউ ধারা ৪, পোকসো-২০১২-এর ধারা ৩৭৬ যোগ করেন এসডিজেএম। পরবর্তীতে ওই মামলা যায় জেলার অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিশেষ বিচারপতির বেঞ্চে। বেশ কয়েক দফায় শুনানির পর আজ সবুর আলিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ জরিমানার রায় দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *