(আপডেট) লেকটাউনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে সজোরে ধাক্কা বাসের, এক মহিলা-সহ মৃত্যু তিন জনের

কলকাতা, ২৬ জুন (হি.স.) : লেকটাউনের ঘড়ির মোড়ের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রাণ হারালেন এক মহিলা-সহ ৩ জন। রবিবার মধ্যরাতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি চার চাকা গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে একটি বাস। সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার মধ্যরাতে লেকটাউনে ভিআইপি রোডের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় ৪৪ নম্বর রুটের একটি বাস ওই রাস্তা দিয়েই বাগুইআটি থেকে উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল।

অভিযোগ, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িতে ধাক্কা মারে। গাড়ির ভিতরে তিন জন ছিলেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় লেকটাউন থানার পুলিশ। গাড়ির ভিতর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক জন মহিলা এবং দু’জন পুরুষ। পুলিশ জানিয়েছে, ৪৪ নম্বর রুটের বাসটি মধ্যরাতে দ্রুত গতিতে উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল। গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাসটি ফাঁকাই ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেসরকারি রুটের বাস চুরি করে বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে নিয়ে পালাচ্ছিল এক যুবক। সেই সময় লেকটাউনে ঘড়ির মোড়ে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল একটি প্রাইভেট গাড়ি। আচমকাই সেই গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা মারে ওই বাসটি। এরপর পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধাওয়া করে আটক করেন পুলিশ কর্মীরা। পরে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। জানা গিয়েছে, ওই প্রাইভেট গাড়িটিতে ছিলেন তিনজন যাত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তামানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই গাড়ির চালক। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম শিবশঙ্কর রাঠি (৫৩)। রবিবার রাজারহাটে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর গাড়ি। ওই গাড়িতেই ছিল তাঁর ছেলে শ্রীবৎস রাঠি (২৩) এবং শিবশঙ্করবাবুর মা কমলাদেবী (৭৩)। তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বাড়ি মানিকতলায়। এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বাস চুরির জন্য বাগুইআটি থানায় মামলাও দায়ের করেছেন ওই বাসটির মালিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *