মেদিনীপুর, ২৫ জুন(হি.স.): বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ‘মাওবাদী’ তকমা পেয়ে জেল খাটা শিলাদিত্য চৌধুরী । রবিবার মেদিনীপুরের ভীমপুরে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়া এক যাত্রীবোঝাই বাস থেকে শুভেন্দুকে দেখতে পেয়ে ডেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন শিলাদিত্য । তাঁর বিরুদ্ধে এখনও চলা কেস নিয়ে সাহায্যও চান শিলাদিত্য
২০১২ সালের ৮ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যিনি সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন করায় মাওবাদী তকমা জুটেছিল কপালে। সঙ্গে হাজতবাস, সামাজিক অপমান। সেই শিলাদিত্য এত বছর পর আবার জনসমক্ষে। এখন শিলাদিত্য চৌধুরী বাসের কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করেন। সঙ্গে চাষের কাজও চলে। রবিবার মেদিনীপুরের ভীমপুরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করছিলেন। সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়া এক যাত্রীবোঝাই বাসের জানালা থেকে উঁকি মারেন এক ব্যক্তি। ডাকেন ‘শুভেন্দুদা’কে। এরপর নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, “দাদা আমি শিলাদিত্য।” মিছিলের ভিড় থেকেই হাত বাড়িয়ে দেন শুভেন্দু, বাসের জানালা থেকে হাত বাড়ান শিলাদিত্যও।
শিলাদিত্য বলেন, পুরনো মামলা নিয়ে এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাঁর কথায়, “আজ বাস দাঁড়িয়েছিল। আমি তো বাসেই ছিলাম। শুভেন্দুবাবুর মিছিল যাচ্ছিল। আমিই নিজে বললাম দাদা আমি শিলাদিত্য। উনি হাত মেলালেন। ওই কেসটার ব্যাপারে কথা বললাম। তারপর তো মিছিল চলে গেল।”
তিনি আরও বলেন, “সারের দাম নিয়ে সরব হওয়ায় জেল খাটলাম, মামলা এখনও চলছে। এলাকার মানুষ যা উত্তর দেবেন সেটাই রায়। আমি তো চাইব এই সরকার যেন না থাকে পশ্চিমবাংলায়। যত কাজ হচ্ছে কেন্দ্র করছে, আর উনি বলছেন উনি করছেন। জল, রাস্তার সব টাকা কেন্দ্র থেকে আসে। বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছে কেন্দ্র। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে। মানুষের উপরই ছেড়ে দিলাম সবটা।”