অসমের বিধানসভা ও সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবের তীব্ৰ বিরোধিতা এসইউসিআই (ক)-এর

করিমগঞ্জ (অসম), ২৪ জুন (হি.স.) : অসমের বিধানসভা ও লোকসভা আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করতে ভারতের নিৰ্বাচন কমিশন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিকল্পনা মতো জনসাধারণের ঐক্য-সংহতি নষ্টের লক্ষ্যে সাম্প্ৰদায়িক মনোভাব নিয়ে গত ২০ জুন যে খসড়া প্রকাশ করেছে তার তীব্ৰ বিরোধিতা করেছে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)।

দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক চন্দ্ৰলেখা দাস এক প্ৰেস বার্তায় এর বিরুদ্ধাচরণ করে বলেছেন, সমগ্ৰ দেশের সাথে রাজ্যের জনসাধারণ ভেবেছিলেন, একসাথে সীমানার পুনর্বিন্যাস হবে। দেশের অন্য কোনও রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভা আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস না করে শুধু অসমেই কেন তা হচ্ছে এ ব্যাপারে জনগণ যেমন অবহিত নন ঠিক তেমনি সরকারের কাছেও এর সদুত্তর নেই। নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্ৰ সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের বিরোধিতাকে অগ্রাহ্য করে জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের সংকীৰ্ণ নিৰ্বাচনী লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে সমষ্টি পুনর্বিন্যাসের কাজ করছে।

প্রেসবার্তায় চন্দ্রলেখা আরও বলেন, এ কথা সৰ্বজনবিদিত যে, সমষ্টি পুনর্বিন্যাস সর্বশেষ আদমশুমারির ভিত্তিতেই করা হয়। অথচ নিৰ্বাচন কমিশন সাংবিধানিক নিয়ম-কানুনকে জলাঞ্জলি দিয়ে ২২ বছর আগের ২০০১ সালের আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে খসড়া তৈরি করেছে। কারণ এতে রাজ্যের দরিদ্র শ্ৰমজীবী মানুষকে ভাষা-ধৰ্ম, খিলঞ্জিয়া-অখিলঞ্জিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সংকীৰ্ণ চিন্তার ভিত্তিতে বিভক্ত করে মূল্যবৃদ্ধি, বেকার সমস্যা ইত্যাদি সৰ্বাত্মক জ্বলন্ত সংকটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা থেকে বিরত করা সহজ হবে। সংকীৰ্ণ দৃষ্টিভঙ্গিপ্ৰসূত সমষ্টি পুনর্বিন্যাসের এই খসড়া প্রস্তাবের তীব্ৰ বিরোধিতার পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এই প্ৰক্ৰিয়া বন্ধ করে সম্পূৰ্ণ নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্ৰিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমগ্ৰ দেশের সাথে ২০২৬ সালে সমষ্টি পুনর্বিন্যাসের জোরালো দাবি জানানো হয়।

সমষ্টি পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়ে নিজেদের সংকীর্ণ নিৰ্বাচনী ফায়দা লুণ্ঠনকে খিলঞ্জিয়ার রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে সে ব্যাপারেও জনগণকে সজাগ থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর রাজ্য কমিটির সম্পাদক চন্দ্ৰলেখা দাস।