নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুন৷৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ধর্মনগরে প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মঙ্গলবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ খাদ্য দপ্তর, বিক্রয় কর দপ্তর এবং পরিমাপ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে ধর্মনগরের হরিমন্দিরে বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক সচেতনতা মূলক শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ এই সচেতনতা মূলক শিবিরে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা বাসব ভট্টাচার্য, সেলট্যাক্স সুপারিনটেনডেন্ট শ্যামল দাস, লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তরের এসিস্টেন্ট কন্েন্টালার আর কে রিয়াং, ধর্মনগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক নিরঞ্জিত সিনহা সহ অন্যান্যরা৷ এই কর্মসূচির বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা বাসব ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে বর্ষার মরশুম চলছে, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে৷ এই গুলিকে কেন্দ্র করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে যাতে অযথা সাধারণ মানুষকে হয়রানী না করা হয় সেই বিষয় গুলি ছিল এই আলোচনার মুখ্য উদ্দেশ্য৷ পাশাপাশি তিনি বলেন সেলট্যাক্স এবং লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তরের আধিকারিকরাও এই শিবিরে অংশ নিয়েছেন৷ যাতে করে এখানকার ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে একই ছাতার তলায় আধিকারিকদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারেন সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে৷ মেঘালয়ে ধস পড়ে রাস্তা বন্ধের কারণে রাজ্যে কি এর প্রভাব পড়বে, উত্তরে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এর প্রভাব ত্রিপুরা রাজ্যে পড়েনি৷ সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি৷ কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখা গেল কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে পেপসিকাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ধরে আলু প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে গেছে পিঁয়াজ প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে তাছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি করে দিয়েছে বাজারের ব্যবসায়ীরা ঊ নাজেহাল ধর্মনগর বাসী নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামছাড়া বৃদ্ধির কারণে৷
2023-06-20