আগরতলা, ১৪ জুন (হি.স.) : আগামী ২৭ জুন সারা দেশের ক্রেতাদের নিয়ে ত্রিপুরায় বিভিন্ন ফলের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।আজ নাগিছড়া স্হিত কৃষি গবেষনাকেন্দ্রে ত্রিপুরায় উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির আমের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে একথা বললেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ হবে।সাথে তিনি যোগ করেন, আম উৎপাদনে নজর কাড়ছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরায় বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন।
এদিন তিনি বলেন, আম গাছ কল্প বৃক্ষ নামে পরিচিত। আম একটি সুস্বাদু ফল, যা এশিয়া মহাদেশের সব দেশেই পাওয়া যায়। আম ভারতের জাতীয় ফলও। মানুষের মধ্যে আমের লোকপ্রিয়তার জন্য আমকে ফলের রাজাও বলা হয়। আমে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন প্রজাতির আমের মধ্যে রুপে, গন্ধে ও স্বাদে অতুলনীয় হল আলফানসো আম। তাই আলফানসোকে আমের রাজাও বলা হয়।
তাঁর দাবি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সারা দেশে ২১ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হয়েছে। দেশে উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক আমের উৎপাদন হয়, যা মোট উৎপাদনের প্রায় ২৩%। ত্রিপুরায় মোট ১০৩৫৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। যার গড় উৎপাদন প্রতি হেক্টর ৫.০৯ মেট্রিক ট্রন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ শুরু হয়েছে। নাগিছড়াতেই বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হচ্ছে। ত্রিপুরাতে বিশেষ করে আম্রপালি, হিমসাগর ও অম্বিকা ইত্যাদি প্রজাতির আমের চাষ হয় বলে জানান তিনি।
এদিন তিনি আরও বলেন, নাগিছড়া স্থিত কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ হচ্ছে। ভারতীয় ১৩ রকম প্রজাতির যেমন- অম্বিকা, অরুণিক, আম্রপালি, হিমসাগর ইত্যাদি আমের চাষ করা হচ্ছে। তাছাড়া, বিদেশী ২২ রকম প্রজাতির আমের চাষ হচ্ছে। মিয়াজাকি, হাড়িভাঙ্গা (ইয়েলো বানানা, জাপানীস অল টাইম) থাই, হিমসাগর ইত্যাদিআমের চাষ হচ্ছে। তাই ত্রিপুরা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ২৭ জুন সারা দেশের ক্রেতাদের নিয়ে বিভিন্ন ফলের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মূলত, ত্রিপুরায় উৎপাদিত ফলের দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়ানোর জন্য এই প্রদশর্নীর আয়োজন করা হচ্ছে।
এদিন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনার আওতায় ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ পরিবারকে ১৫ লক্ষ চারা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাম অয়েলের জন্য সরকার ২০০০ হেক্টর জমিতে চাষের টার্গেট নিয়েছে। এ বছর ১৩০০ হেক্টরে আলাদা করে আম, কাঁঠাল, কমলা, আনারস এবং কলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। নারকেলের জন্য ২৯৫ হেক্টর জমির বৃদ্ধি হয়েছে।
পাশাপাশি আমাদের চিরাচরিত ফলের চাষও বৃদ্ধি করা হবে। যেমন জাম, লিচি, পেয়ারা, কুল এগুলোর চারা আমরা বিতরণ করব, বলেন তিনি। তাঁর দাবি, আরবান হর্টিকালচার স্কিমে দপ্তরের তরফে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার চারা বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নারকেল, আম, হাইব্রিড সবজির চারা এবং ফুলের চারা বিতরণ করা হবে।

