ত্রিপুরায় বজ্রপাতে মৃত্যু কৃষকের, গুরুতর আহত গর্ভবতী মহিলা সহ পাঁচ

আগরতলা, ৮ জুন (হি.স.) : জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। গুরুতর আহত হয়েছেন গর্ভবতী মহিলা সহ পাঁচজন। জমি থেকে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিশালগড় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা একজন কৃষককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাঁদের জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন মহকুমা শাসক বিনয় ভূষন দাস সহ বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক।

মৃত কৃষকের পরিবারের জনৈক সদস্য জানিয়েছেন, আজ সকালে নিজ জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন বিশালগড়  গোলাঘাটি এলাকার বাসিন্দা বাদল দেব (৬০)। জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতের আঘাতে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন মহকুমা শাসক বিনয় ভূষন দাস সহ বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক।

মহকুমা শাসক বিনয় ভূষন দাস জানিয়েছন, বজ্রপাতের ফলে আরও পাঁচজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে পাঁচজনকেই জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন। আহতরা হলেন, বিশালগড় পূর্ব লক্ষ্মীবিলের বাসিন্দা পবিত্র দাস, অরবিন্দনগরের বাসিন্দা কুলসুম বিবি, চাম্পামুড়ার বাসিন্দা চন্দন দেবনাথ, কদমতলীর বাসিন্দা সুমিত্রা সরকার ভৌমিক ও জাঙ্গালিয়ার বাসিন্দা বাসন্তি সাহা। বাসন্তি সাহা গর্ভবতী বলে জানিয়েছেন তিনি। মৃতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রসাশনের পক্ষ থেকে আহতদের সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তি দিয়ে আজ দুপুর ১টা নাগাদ মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে। তাতে, ত্রিপুরা জুড়ে মানুষ ভীষণ স্বস্তি পেয়েছেন। কিন্তু, প্রকৃতির এই বিচিত্র রূপ কিছু মানুষের জীবনে সর্বনাশ ডেকে এনেছে। একদিকে বৃষ্টির পরশে মানুষ রোমাঞ্চিত যখন হচ্ছেন, তখনই বিশালগড়ে ওই কৃষকের পরিবারের বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। বজ্রপাতে আহত পাঁচজনের দ্রুত আরোগ্য কামনায় সকলেই প্রার্থনা শুরু করেছেন।