মধুপুরে মানব পাচারচক্রে জড়িত আরও একজন পুলিশের জালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুন৷৷ মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতদের আটক করার জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত একজনকে জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে মধুপুর থানার পুলিশ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজনকে আটক করার জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে৷ সংবাদপত্রে জানা গেছে,
আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে রাতভর বাংলাদেশী মা ও মেয়ের শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে অভিযুক্তদের জালে তুলতে শুরু করেছে মধুপুর থানার পুলিশ৷ ঘটনার মূল অভিযুক্ত কৈয়াডেপার লস্কর পাড়ার বাসিন্দা নারায়ন দাস৷ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাস্তার মাথাস্থিত ভাড়া বাড়ি থেকে মধুপুর থানার এএসআই অনিমেষ পালের নেতৃত্বে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নারায়ন দাসকে৷ পাশাপাশি তার ঘর থেকে অপর অভিযুক্ত রং মিয়ার বাইকটি উদ্ধার করে পুলিশ৷ মধুপুর থানার ওসি বিভাস রঞ্জন দাস জানান বাংলাদেশী মা ও মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় মোট চার জন অভিযুক্ত রয়েছে৷ তাদের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালানো হয়৷ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় নারায়ন দাসকে৷  এই ঘটনায় জড়িত অপর তিনজনকে আটক করার জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷ উল্লেখ্য বাংলাদেশের এক মহিলা ও তার মেয়ে কাজের সন্ধানে ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছিল৷ সেখান থেকে ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পথ দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা৷ পাচার চক্রের লোকজনরা তাদেরকে বাংলাদেশে পার করে দেওয়ার নাম করে মধুপুর সীমান্তবর্তী একটি জঙ্গলে আটকে রাখে৷ সেখানে তাদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে৷ তখন বাধ্য হয়েই মা ও মেয়ে চিৎকার করেন৷ চিৎকার শুনে সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফের জোয়ানরা এগিয়ে গিয়ে জঙ্গল থেকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করেছিল৷ এব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্ট মামলা গৃহীত হয়৷ সূত্র ধরে পুলিশ একজনকে জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে৷