নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ মে৷৷ সামান্য বৃষ্টিতেই পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষের জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত জুমিয়ারা৷ জমে দান ও সবজির বীজ বপন করতে তারা এখন খুবই ব্যস্ত৷ বহু জনজাতি পরিবার জুম চাষ করে তাদের জীবিকা অর্জন করে চলেছেন৷ এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা আরো বেশি পরিমাণে পেলে রাজ্যের উপজাতিদের আয় উপার্জন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশা ব্যক্ত করেছেন৷৷ প্রত্যন্ত এলাকার জুমিয়ারাও সমতলের বা গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের মত অন্নদাতা৷ জুম চাষ ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি এলাকার জনজাতি অংশের মানুষের উপার্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম ৷ কাজেই জুম চাষাবাদের ক্ষেত্রেও সরকারি সাহায্য সহায়তা প্রয়োজন৷ বৈশাখের শুরুতে আংশিক বৃষ্টিপাতের ছোঁয়া পেয়ে প্রত্যন্ত এলাকার জুমচাষের টিলাভূমি উর্বর হয়ে ওঠে৷ যদিও এবছর প্রকৃতি একটু বিমুখ৷ তার পরেও বৈশাখের শেষে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় জুমের জন্য টিলা ভুমি অনেকটাই প্রস্তুত৷ আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জুমিয়ারা টিলা ভূমিতে জুমের বিভিন্ন রকমের সবজি সহ ধান বীজ রুপন করতে ব্যস্ত৷ এমনই বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করা গেল মুঙ্গিয়াকামী আরডি ব্লকের অধীন বৈরাগী ঢেপা এলাকায়৷ এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল জনজাতি রমণী সহ জুমিয়ারা জুমের বিভিন্ন কৃষিজ ফসলের বীজ বপন করছে৷ কথা প্রসঙ্গে জুমিয়া রমণী জানান, এবার তারা ধান, জিঙ্গা, মিস্টি কুমোর সহ রকমারি সবজির বীজ বপন করছে৷ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই নিজেরা উদ্যোগী হয়েই এই জুম চাষ করছেন৷ কথা প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান,এবার দুটি টিলা ভূমিতে জুম চাষ করবেন৷ তবে এই জুম চাষ করে লভ্যাংশের মুখ দেখা যায় জুমের কৃষিজ ফসল গুলি বাজারজাত করে৷আশ্বিন কার্তিক মাসে এই ফসল ঘরে তোলার সময়৷ জুম চাষই তাদের একমাত্র রুটি-রুজির সম্বল৷ সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে তারা এই জুম চাষকে আরো প্রসারিত করার উদ্যোগ নেবেন বলে ওই জুমিয়া রমণী আশা ব্যক্ত করেন৷
2023-05-21

