ন্যায্য মূলের দোকানে মশলা বিতরণের সূচনা : ত্রিপুরায় বর্তমান সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে জনগণের সমস্যা সমাধানে সক্রিয়, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

আগরতলা, ১৬ মে (হি. স.) : ত্রিপুরায় বর্তমান সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে জনগণের সমস্যা সমাধানে সক্রিয়। গত পাঁচ বছর ধরে স্বচ্ছতা বজায় রেখে সরকার জনগণের সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সমাধানের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ন্যায্য মূল্যের দোকানে ভর্তুকি হারে মশলা বিতরণের সূচনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা।
সাথে তিনি যোগ করেন, জনবান্ধব ত্রিপুরা সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত হয়েছে। বিগত ৫ বছরে ত্রিপুরায় বিভিন্ন উপায়ে সংযোগ বৃদ্ধি হয়েছে। সম্প্রতি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মিলনে এই রাজ্যে G20 ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ নৌপথ যোগাযোগ সম্প্রসারণের প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিমানপথ, সড়কপথ এবং রেলপথে সংযোগের প্রসার বৃদ্ধি হয়েছে। এমনকি রাজ্য সরকার ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুবিধার জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। ভারত এবং বিদেশ থেকে বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগের সুযোগের জন্য ত্রিপুরার দিকে তাকিয়ে আছে।
তাঁর দাবি, দক্ষিণ জেলার সাব্রুমে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধনের পর ত্রিপুরার রূপ পাল্টে যাবে। মৈত্রী সেতু চালু হলে ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর-পূর্ব অঞ্চল ব্যবসা, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের সুফল ভোগ করবে। সমস্ত দিক দিয়েই ত্রিপুরা সেরা অবস্থানে রয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরায় ১৩৭টি খাদ্য গুদাম রয়েছে। ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে চাল, চিনি এবং কেরোসিন সরবরাহের প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমান সরকার রেশন দোকানের মাধ্যমে আরও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল। সেই অনুযায়ী এখন থেকে  ন্যায্য মূলের দোকানে মশলা বিতরণ করা হবে। আগামী দিনে সরকার শীঘ্রই বছরে চারবার এক লিটার সরিষার তেল বিতরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের জন্য স্মার্ট কার্ড বিতরণ, রেশন দোকানের ডিলারদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা, রেশন দোকানের সাহায্যকারীদের জন্য চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হবে।