নয়াদিল্লি, ১৬ মে (হি.স.) : ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল তামিলনাড়ু সরকার। এই বিষয়ে ফিল্মটির নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন বলে দাবি করেছে সরকার।
তামিলনাড়ু সরকারের দাবি, দর্শকদের দুর্বল প্রতিক্রিয়ার কারণে প্রেক্ষাগৃহগুলির মালিকরাই ছবিটি প্রদর্শন করা বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় সিনেমা হলগুলিতে উপযুক্ত নিরাপত্তা প্রদান করা ছাড়া, চলচ্চিত্রটির দর্শক বাড়ানোর জন্য সরকারের করণীয় কিছু নেই বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর চলচ্চিত্রটির নির্মাতারা অভিযোগ করেছিলেন যে, সিন্মাটির প্রদর্শনের উপর তামিলনাড়ু সরকার কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমকে স্টালিনের সরকারের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন দক্ষিণী রাজ্যটির সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা পেশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ৭ মে থেকে সিনেমা হল মালিকরা স্বেচ্ছায় চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পিছনে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। অভিনেতাদের খারাপ পারফরম্যান্স, চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শকদের দুর্বল প্রতিক্রিয়া, চলচ্চিত্রটিতে সুপরিচিত অভিনেতাদের অভাব, এটির নেতিবাচক সমালোচনার মতো বিভিন্ন কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল মালিকরা। তাদের সিদ্ধান্তের উপর রাজ্য সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
চলচ্চিত্রটির নির্মাতারা আরও অভিযোগ করেছিলেন যে, রাজ্য সরকার ফিল্মটির উপর একটি “ছদ্ম নিষেধাজ্ঞা” জারি করেছিল। চলচ্চিত্রটির মুক্তি পেলে জোরদার প্রতিবাদ হতে পারে বলে হলগুলিতে “সতর্কতা” জারি করেছিল। এই কারণেই রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহগুলি ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে। দক্ষিণ রাজ্যে ছবিটি প্রদর্শনের জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলেন নির্মাতারা।
রাজ্য সরকারের হলফনামায় এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের ১৯টি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছিল চলচ্চিত্রটি। যাতে সিনেমাটি দেখতে গিয়ে দর্শকরা কোনও আইনশৃঙ্খলাগত সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মাল্টিপ্লেক্সে বেশি বেশি করে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ২১টি সিনেমা হলের সুরক্ষার জন্য ২৫ জন ডিএসপি ব়্যাঙ্কের অফিসার-সহ ৯৬৫ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। পাশাপাশি হপনামায় বলা হয়েছে, নির্মাতারা এমন কোনও নথিও দেখাতে পারেননি, যাতে প্রমাণ করা যায় যে রাজ্য সরকার ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে।

