ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মে।। কমিটি গঠন না করে ক্রীড়া দপ্তরের এক অফিসারকে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের আর্থিক দায়ীত্বে আনার ফলে এক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। স্বশাসিত ক্রীড়া সংস্থায় ক্রীড়া দপ্তরের বেআইনি হস্তক্ষেপ কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না ক্রীড়ামোদী মহল। দুমাসের উপর নতুন সরকারের সময়সীমা পেড়িয়ে গেলেও ক্রীড়া পর্ষদে কমিটি গঠন করতে না পারাটা ক্রীড়ামোদী মহলের মতে সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশাল ব্যর্থতা বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই ব্যর্থতা ঢাকতে দপ্তরের বেআইনি হস্তক্ষেপ কেলেংকারীর মাত্রা দ্বিগুন করে দিয়েছে।
ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের বিদায়ী কমিটির তিন মাসের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৭ এপ্রিল। এর পর প্রায় একমাস হতে চললো সরকার এই সংস্থাটিতে নতুন কমিটি গঠন করতে পারে নি! ২০১৮ সালে একই ঘটনা হয়েছিল। সেসময় বাম জমানা খতম করে রাম জমানা পথ চলা সবে শুরু করেছিল। ফলে ক্রীড়া পর্ষদে কমিটি গড়তে সময় লাগাটা স্বাভাবিক। তবু ছয় মাস পর কমিটি করার বিষয়টা একটু বেশীই হয়ে গিয়েছিল। আর ওই মধ্যবর্তী সময়ে ক্রীড়া দপ্তরের কতিপয় অফিসার পর্ষদে প্রচুর অনিয়ম চালায় বলে অভিযোগ। বিশেষ করে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ ক্রীড়া মহলে রয়েছে। অথচ এবার সেই সমস্যা ছিল না। পাঁচ বছরের ক্রীড়া পর্ষদ অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য পেয়েছে। নিজেদের রাজস্ব বাড়িয়েছে। পরিবেশে পরিবর্তন এনেছে। পর্ষদের কাজের গতিও বেড়েছে। এটা সত্য অনুমোদিত ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে অনুদান চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারে নি। তবে পর্ষদের প্রশাসনিক কাজ চালানোর মত পরিস্থিতি এখন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর্ষদের কমিটি গঠন নিয়ে তালবাহানা ক্রীড়ামোদী মহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে। আর এর সুযোগে এবারো অনধিকার চর্চা করছে দপ্তর প্রশাসন। ক্রীড়া অধিকর্তার বেআইনি নির্দেশে উপ অধিকর্তা বিপ্লব দত্ত স্বাশাসিত ক্রীড়া সংস্থাটিতে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন বলে অভিযোগ।
রাজ্যবাসীকে স্বচ্ছ প্রশাসন দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার রাম সরকার ক্রীড়া পর্ষদের ক্ষেত্রে বিপরীত মুখি মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ডা. সাহা একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং প্রথম রাম সরকারের সময়কালে ক্রীড়া পর্ষদের সচিবের দায়ীত্বও পালন করেছিলেন। ফলে অভিজ্ঞতা রয়েছে পর্ষদ সম্পর্কে। এর পরেও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দুই মাস গড়িয়ে যাওয়াটা প্রশাসনিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত নিদর্শন।

